রচনা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

August 27

12 min read

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, প্রায়ই তোমরা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” রচনা আসতে দেখো। তাই আজকে আমি তোমার জন্য সহজ সরল ভাষায় ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা লিখছি। 

আশাকরি, পরীক্ষার খাতায় সুন্দর করে লিখতে পারবে আজকের এই নিবন্ধে উল্লিখিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনাটি পড়ার পর।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা কি জানো তোমাদের প্রিয় ব্লগ স্টাডিকরোতে গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক রচনা আছে? বাংলা রচনা বিভাগ থেকে তোমাদের যার যেই রচনাটি লাগবে দেখে নাও। যদি এমনটি হয় যে, যেই বিষয়ের রচনা খুঁজছো তা আমরা এখনও প্রকাশ করিনি; তাহলে মন্তব্য ঘরে জানিয়ে দাও রচনাটির নাম।

তাহলে দেরি না চলো শুরু করা যাক…

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

ভূমিকা

মানুষের মনের ভাব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম ভাষা। এ ভাষার ভিত্তিতে মানুষকে পৃথিবীর অন্য সকল প্রাণীর থেকে আলাদা করা হয়। কারণ পৃথিবীতে একমাত্র মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করতে নির্দিষ্ট ভাষা ব্যবহার করতে পারে। মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য নিজের মাতৃভাষাকে ব্যবহার করে থাকে। মাতৃভাষা ছাড়া মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা যায় না। মনের তৃপ্তি আসে না মাতৃভাষায় কথা বলা ছাড়া। তাইতো পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু হয় মাতৃভাষা দিয়ে। মাতৃভাষায় কথা বলার মাধ্যমে শিশুর মনে স্বদেশপ্রেমের সূত্রপাত ঘটে। তাই এ ভাষার মাহাত্ম্য অনেক।

তবে আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছে অনেকের রক্তের দামে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয় আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। শুধু আমাদের নয় একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে যা আমাদের মাতৃভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ইতিহাসকে আরো গৌরবোজ্জ্বল করে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি

ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান নামক দুইটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। যেখানে একটি ছিলো পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) অন্যটি ছিলো পশ্চিম পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তানিরা শতকরা ৯৭% মুসলিম ও বাঙালিরা ৮০% মুসলিম নিয়ে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। তবে তখন সমস্যা সৃষ্টি হয় মাতৃভাষা নিয়ে। পাকিস্তানের দুটি শাখা রাষ্ট্রের মাতৃভাষা ছিলো আলাদা। তখন একটি সার্বজনীন ভাষা উপস্থাপনের প্রয়োজন হয়। এর পরিপেক্ষিতে ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে আালীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জিয়াউর আহমেদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এতে বাংলার বুদ্ধিজীবী, ছাত্রসমাজ, সাংবাদিক, বিভিন্ন কর্মী প্রমুখ এই প্রস্তাব মেনে নেয়নি। তারা মাতৃভাষা উর্দুকে মেনে নিতে অস্বীকার করে। 

১৯৪৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসের ৬ ও ৭ তারিখ নবগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুব লীগের কর্মী সম্মেলনে বাংলা ভাষাতে পূর্ব বাংলার শিক্ষা ও আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবুল কাসেম ২ রা সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে ‘তমদ্দুন মজলিস ‘ নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই দাবি উত্থাপিত করেন। ‘তমদ্দুন মজলিস’ নামক সংগঠনের মাধ্যমে একটি সাংস্কৃতিক দল ভাষার ব্যাপারে সতর্ক হন। তারপর রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে উক্ত সংগঠন কর্তৃক একটি পুস্তক বাহির করা হয় যার নাম ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’।

এটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ স্বরূপ ছিলো। ইতিমধ্যে অনেকেই উক্ত সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু করেন। কিন্তু পাকিস্তানের সরকার বাংলার উপর জোরপূর্বক উর্দুকে বাংলার রাষ্ট্রভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেয়। পাকিস্তানের শতকরা মাত্র ৩.২৭ ভাগ লােকের মাতৃভাষা ছিল উর্দু। তবুও পাকিস্তানিরা অন্যায়ভাবে নিজেদের খেয়াল খুশি অনুযায়ী বাংলার মানুষের উপর নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপানোর চেষ্টা করে। বুদ্ধিদীপ্তভাবে পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য বিভাগের নিয়ােগ পরীক্ষায় বাংলাকে বাদ দেয়া হয়। তাছাড়াও পাকিস্তানের গণপরিষদে ইংরেজি ও উর্দুকে সরকারি ভাষা হিসাবে ঘোষণা করে।

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে অধিবেশন হয় যেখানে কংগ্রেস দলীয় সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকেও সরকারি ভাষা হিসাবে রাখার দাবি উপস্থাপন করেন। তিনি বুঝানোর চেষ্টা করেন যেহেতু পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভাষা বাংলা সেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তবে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানায় যেহেতু পাকিস্তান একটি মুসলিম রাষ্ট্র সেহেতু উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় আন্দোলন।

এই আন্দোলনে বাংলার সকল জনসাধারণ ক্রমান্বয়ে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে। অবস্থা হাতের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কায় পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির সাথে ১৫ মার্চ আলোচনায় বসে ৮ দফা দাবির চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে যেখানে ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত কিছু শর্ত দেওয়া হয়। তবে পাকিস্তান সরকার এসব শর্ত বাস্তবায়ন করার পরিবর্তে ২১ শে মার্চ ১৯৪৮ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে আয়োজিত এক জনসভায় জানায় বাংলা নয়, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এতে পূর্ব বাংলার মানুষ ক্ষেপে যায় এবং তার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

১৯৫১ সালে আবার সেই আন্দোলনের পুনর্জাগরণ ঘটে। ২৭ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে পাকিস্তানের তখনকার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন এক জনসভায় ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তার এই ঘোষণায় উপস্থিত ছাত্র জনতা, বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্যরা ‘না না’ ধ্বনিতে তৎক্ষনাৎ প্রতিবাদ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ শে জানুয়ারি এক সভার আয়োজন করা হয় এবং সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্র ধর্মঘট পালন করা হয়। আন্দোলন শুরু করে জনসাধারণসহ বিভিন্ন কর্মজীবী মানুষেরা।

এই আন্দোলন ঠেকাতে পুরো ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা না মেনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য প্রতি জায়গায় দশ জন করে মিছিলে বের হয়। পুলিশ তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। অনেককে সেদিন গ্রেফতার করা হয়। লাঠিচার্জ পর্যন্ত করে। এর প্রতিবাদে ছাত্রজনতারা ইট পাথর ছুড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ জনতার সাথে না পেরে গুলি বর্ষণ করা শুরু করে। ফলে সেখানেই নিহত হন সালাম, রবিক, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে। তাঁদের স্মৃতির স্মরণে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয় এবং ২১শে ফেব্রুয়ারিকে সরকারিভাবে শহিদ দিবস হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি 

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মর্মান্তিক ঘটনার কথা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তখন বাধ্য হয়ে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি 

১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে ১৮৮ টি দেশ এতে সমর্থন জানায়। সেই প্রস্তাব পেশ করার মূল প্রস্তাবক ছিলো বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব। ২০০০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় পেরিসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। বর্তমানে জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস গর্বোজ্জ্বলভাবে পালিত হয়ে আসছে।

মাতৃভাষার বিকৃতি ও অবজ্ঞা

মাতৃভাষা মানুষের আবেগ আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তবে বর্তমানে বিভিন্ন ভাষা চর্চার বদৌলতে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। অবমাননা করা হচ্ছে বাংলা ভাষাকে। বিভিন্ন ভাষা শেখার তাগিদে মানুষ বাংলা ভাষার সাথে সংমিশ্রণ করছে অন্য দেশীয় ভাষা। এতে বাংলা ভাষার অবমাননা বেড়েই চলেছে। যারা মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে পারে না তারা কখনোই দেশকে ভালোবাসতে পারবে না। তাই মাতৃভাষার প্রতি আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। নিজেদের ভুলগুলো সমাধান করে মাতৃভাষা বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চাসহ শিল্পচর্চা করা উচিত।

মাতৃভাষা দিবসের আনন্দ উৎসব

১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর ২০০০ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে খুব জমকালোভাবে আয়োজন করা হয় মাতৃভাষা দিবসের। এর পর থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজন করা হয় এই মাতৃভাষা দিবসের। শুধু আমাদের দেশে নয় বিশ্বের প্রায় প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর এই দিনটিতে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় ভাষা-শহীদদের স্মরণে। শহীদ মিনারে পুষ্প দিয়ে তাঁদের সম্মান জানানো হয়।

মাতৃভাষা ও সাহিত্য 

মাতৃভাষার সাথে সাহিত্য কথাটা নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। সাহিত্য হলো আমাদের মনের ভেতরকার সেসব কল্পনা যা আমরা ভাষার মাধ্যমে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। সাহিত্যচর্চা হয়ে থাকে নিজের ভাষায়, মাতৃভাষায়। সাহিত্য আমাদের মনের কল্পনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সাহিত্যচর্চা তখনই সিদ্ধ হয়ে যখন সেই সাহিত্যচর্চা ও নিজের মায়ের ভাষায়। সম্পূর্ণ বোধগম্য না হলে যে সাহিত্য তার আসল রূপ দেখাতে ব্যর্থ।

জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমে মাতৃভাষার প্রচলন

বাংলা হলো পৃথিবীর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সপ্তম বৃহত্তর ভাষা। তাই বাংলা ভাষাটাকে যতটা হালকাভাবে দেখানো হয় আসলে কিন্তু তা নয়। বাংলা ভাষার গুরুত্ব অনেক। বৈজ্ঞানিকভাবে বিভিন্ন ভাষাচর্চার মাধ্যমে আজকের বাংলা ভাষা সম্পূর্ণ রূপ ধারণ করেছে। এদিকে বাংলাভাষা বাংলার রাষ্ট্রভাষা হওয়া সত্ত্বেও বড় বড় কার্যালয়ে বাংলার ব্যবহার নেই বললেই চলে। তবে বাংলা ভাষায় যদি সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় তবে বাংলার মান বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু এদেশের সকল মানুষের ভাষা বাংলা চাইলেই বিশ্বের উন্নয়নমূলক পুস্তকগুলো বাংলায় অনুবাদ করা যেতে পারে। নিজের ভাষায় লজ্জা নয় গর্ব থাকা উচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে নিজ মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে গেছেন। তাই আমাদের অন্য দেশীয় ভাষা থেকে আনুগত্য ত্যাগ করে বাংলা ভাষায় শিক্ষাব্যবস্থাসহ সকল কার্যক্রম করার উদ্যোগ নিতে হবে। 

উপসংহার 

বর্তমান সময়ে আমরা একটি পরিপূর্ণ রাষ্ট্র পেয়েছি। তবে আমাদের এই পরিপূর্ণ রাষ্ট্র পাওয়ার ইতিহাসটা মোটেই সহজ সরল ছিলো না। এমন একটি দেশ পাওয়ার ইতিহাসে আছে অনেক মানুষের আত্মত্যাগ, রক্তদান। অনেক শোষণ, অত্যাচার, ত্যাগ করার পর আমরা আজকের বাংলাদেশ পেয়েছি। কথায় আছে স্বাধীনতা অর্জনের থেকে তা রক্ষা করা কঠিন। তেমনই স্বাধীনতা অর্জন হলেও আমাদের উপর এখন স্বাধীনতা রক্ষা করার গুরু দায়িত্ব। আমাদের সকলের উচিত নিজের ভাষা মাতৃভাষা বাংলাকে সম্মান করা। মাতৃভাষায় কথা বলে নিজের ভাষাকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় রাখা আমাদের কর্তব্য। 

দৃষ্টি আকর্ষণ: এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনাটি ২০ পয়েন্টে লেখা না হলেও চাইলে এখান থেকে ছোটো ছোটো অংশ নিয়ে ২০ পয়েন্টে রচনাটি লেখা যাবে।

Share this article

Content Writer
Rampur Anwara High School
Mymensingh, Bangladesh
একজন শিক্ষার্থী হওয়ার পাশাপাশি কবিতা ও গল্প লিখতে ভালোবাসি। লেখালেখি নিয়ে পরিচিত হওয়ারও একটা তাগিদ কাজ করে আমার মাঝে। তারই তাড়নায় স্টাডিকরো ব্লগ সাইটে লেখালেখি শুরু করি। যতদিন সম্ভব স্টাডিকরো’র সাথে থাকবো।
Comments
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
Related articles
অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট
অধ্যবসায় রচনা: সহজ ভাষায় পয়েন্ট আকারে

অধ্যবসায় রচনাটি এসএসসি সহ বিভিন্ন শ্রেণির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে অধ্যবসায় রচনাটি দেয়া হলো। এখানে অধ্যবসায় রচনার ২০ এর অধিক পয়েন্ট আছে। অব্যবসায় রচনাটি আমরা বিভিন্ন জায়গা

More from Israt Jahan
পর্যায় সারণি কাকে বলে
Israt Jahan Juti

পর্যায় সারণির আদ্যোপান্ত (Periodic Table)

রসায়নে পর্যায় সারণি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পর্যায় সারণির উপর ভিত্তি করে রসায়ন দাঁড়িয়ে আছে। পর্যায় সারণি সম্পর্কে ধারণা ছাড়া কখনোই

Was this article helpful?
Share this post
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা
রচনা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
https://www.studykoro.com/internatinal-mother-language-day-rochona/

Email Newsletter

Subscribe to our newsletter with your email address to get new post updates in your mailbox.

Your privacy is important to us

অনুসন্ধান করুন

সঠিক কিওয়ার্ড লিখে খুঁজে নিন আপনার দরকারি পোস্টটি!

ক্যাটাগরি

Report this article

Let us know if you notice any incorrect information about this article or if it was copied from others. We will take action against this article ASAP.

We're happy to give you a good experience

Please share your good experience so that we can improve the quality of our content and make our website more useful for you.

Sorry, what's the problem?

Please share your bad experience so that we can improve the quality of our content.

Report this book

Let us know if you notice any incorrect information about this PDF book. Also, please let us know if the given PDF file is banned for sharing; we will remove it as soon as possible. 

User Profile Picture

YourName