আপনার পরীক্ষা কি আসন্ন? পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চান? আপনি যদি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট পেতে চান তাহলে এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এখানে পরীক্ষায় ভালো করার বেশ কয়েকটি কার্যকরী কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা আপনাকে পরীক্ষায় শুধু পাশ নয় বরং অনেক ভালো ফলাফল পেতে সাহায্য করবে। মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র সমরাস্ত্রের জোরে কোনো দেশ শক্র পক্ষের বিপক্ষে বিজয়ী হতে পারে না, সঠিক রণ কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমেই বিজয়ী হওয়া সম্ভব। যুদ্ধে জয়ী হবার জন্য যেমন যুদ্ধপূর্ব সঠিক প্রশিক্ষণের গুরুত্বের শেষ নেই, ঠিক পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল পেতে আগে থেকেই প্রস্তুতির নেই কোনো বিকল্প। আর এটাও মনে রাখতে হবে সফলতার শটকাট কোনো পথ নেই। অতএব, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেতে নিম্নোক্ত কৌশলগুলো অবলম্বন করুন।
নির্দিষ্ট লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক করুন
সঠিক লক্ষ্য উদ্দেশ্য না থাকলে আমরা কোনো অভ্যাস বেশি দিন ধরে রাখতে পারিনা। আপনাকে জানতে হবে আপনি কেন লেখাপড়া করছেন, জীবনে কী হতে চান, কখন সেই স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করতে চান। আরো জানতে হবে, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা আপনার জন্য কতটা জরুরী। আমি ধরে নিলাম যে, আপনি যেহেতু এই লেখাটি পড়ছেন সেহেতু উপলব্ধি করতে পেরেছেন আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো ফলাফল করাটা খুবই জরুরী। আমরা যখন লক্ষ্য অর্জনের জন্য কোনো কাজ শুরু করি তখন সেই কাজে থাকে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা ও ভালোলাগা। আর ভালোলাগার সাথে কোনো কাজ করলে সেই কাজের ফলাফল সত্যিই অবিশ্বাস্য রকমের ভালো হয়।
- অতএব স্বপ্ন পূরণ ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য পড়াশোনা করুন।
ক্লাসে মনোযোগী হউন
বোঝার চেষ্টা করুন ক্লাসে কি পড়ানো হচ্ছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসে অমনোযোগী থাকে এই ভেবে যে, তারা মনে করে বাসায় যেয়ে একনজর বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়েই তারা দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলতে পারে। তাহলে তাদের প্রতি প্রশ্ন, শিক্ষকের সাহায্য ছাড়া নিজেই যদি সবকিছু বুঝতে পারেন তাহলে কেন ক্লাসে উপস্থিত হন? এটা তো সময় অপচয় বৈ আর কিছু নয়।
- মনোযোগের সাথে শিক্ষকের কথা শুনুন।
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নোট ডাউন করুন।
ব্যক্তিগত নোট তৈরি করুন
মাথায় সবকিছু সংরক্ষিত থাকে না। ধীরে ধীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মস্তিষ্ক থেকে হারিয়ে যেতে থাকে। এই সমস্যার একটা সমাধান হতে পারে নোট। নোটে ক্লাসে পড়ানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিখে রাখুন। তাহলে পরবর্তীতে যখন নোটে থাকা লেখাটি দেখবেন, তখন ক্লাসের সেই পড়াটি মনে পড়ে যাবে। এতে ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।

স্মার্ট ওয়েতে পড়ুন, কঠিন নয়
দিনরাত বই নিয়ে পড়ে থাকা আপনার সেই সহপাঠীর চেয়ে অনেক বেশি ভালো ফলাফল করতে পারবেন শুধুমাত্র স্মার্ট কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমেই। তাহলে কৌশলগুলো জেনে নেওয়া যাক।
১. পড়ার পরিবেশ তৈরি করুন
পরিবেশ তার নিজস্ব ধাঁচে আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। সহজ কথায় বলতে গেলে, আমরা যখন যেই পরিবেশে যাই, তখন সেই পরিবেশের সাথে খাপ খেয়ে যাই। অতএব,
- পড়া শুরু করার আগেই হাতের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- বই, খাতা, কলম ইত্যাদি রাখুন।
- পড়ার টেবিল গুছিয়ে রাখুন।
- সাথে খাবার পানি নিয়ে বসুন।
- রুমে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করুন।
- পড়ার কক্ষে টিভি থাকলে সরিয়ে ফেলুন।
- পড়ার সময় মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।
এককথায়, রিডিং রুমে পড়ার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
২. পড়ার মাঝে বিরতি নিন
একনাগাড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়তে থাকলে যেমন মাথায় কিছু ঢুকবে না, ঠিক পড়ার প্রতিও অনাগ্রহের জন্ম নিবে। তাই,
- প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর অন্তর ৫ মিনিটের বিরতি নিন।
- বিরতির সময়ে একটু পায়চারি করুন। এতে ফ্রেশনেস ফিরে পাবেন।
৩. শুধু পড়লে হবে! সাথে ভাবুনও
এবার পড়া থামান। বই বন্ধ করুন, চাইলে চোখও বন্ধ করুন। এতোক্ষণ কি পড়লেন ভাবুন।
- কোনোকিছু পড়া, শোনা বা দেখার পর যখন সেটা নিয়ে ভাবনার জগতে ডুব দেয়া হয় তখন সেই জিনিসটা আমাদের মস্তিষ্কে শক্তপোক্তভাবে গেঁথে যায়।
৪. লেখার অভ্যাস গড়ুন
আপনি ভালো বলতে পারেন কিন্তু লিখতে দিলে মাথায় কিছুই আসেনা, কলম চলেনা, অলস এক জায়গায় স্থির থাকে। তাহলে বলুন লিখিত পরীক্ষায় আপনার এই বলতে পারার গুণটি কি কাজে আসবে! এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন গুছিয়ে লেখার দক্ষতা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।
দক্ষতা এক রাতে অর্জন করার জিনিস নয়। নিয়মিত পড়ার পর তা লেখার অভ্যাসই আস্তে আস্তে আপনার লেখার দক্ষতা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।
পড়ার সময়ে মনে হয় আর পড়া লাগবে না, আমি এটা পারবো অথচ পরীক্ষার সময় লিখতে যেয়ে দেখা যায় কিছুই ঠিকঠাক মাথায় আসছেনা। পড়ার পর লিখতে গেলে যখন কোনো জিনিস মনে পড়ে না, তখন সেগুলো আবার পড়ে নেওয়া যায়। তখন মাথায় সেই জিনিসটা আবার ভালোভাবে গেঁথে যায়। না লিখলে স্মৃতি থেকে পড়া দ্রুত হারিয়ে যাবে। অতএব শুধু পড়লে হবেনা, পড়ার পর তা লিখতেও হবে।
লেখার অভ্যাসে আমরা যা অর্জন করতে পারি–
- লেখার অভ্যাস আমাদের ভাষাজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে।
- বানান ভুলের পরিমাণ কমে।
- চিন্তা ভাবনাকে সম্প্রসারিত করে।
৫. হাতের লেখা সুন্দর করুন
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। সুন্দর জিনিসে না চাইতে আমাদের চোখ আটকে যায়। সুন্দর হাতের লেখা যেমন লেখকের আনন্দ দেয়, ঠিক তেমনি যিনি লেখাটি পড়েন তারও ভালো লাগে। হাতের লেখা সুন্দর হলে পরীক্ষকের খাতা দেখতে সুবিধা হয়। এতে করে পরীক্ষায় নম্বরও বেশি আসে। ও হ্যাঁ, আপনি হয়তো জানেন সুন্দর পরিচ্ছন্ন লেখা সুরুচির পরিচয় বহন করে। তাই আপনার হাতের লেখা সুন্দর করুন আজ থেকেই।
- বাংলা হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল
- যেভাবে ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করবেন
স্বাস্থ্য সচেতন হউন
কথায় আছে, “স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।” দেহ ভালো থাকলে যেমন মন ভালো থাকে, আর দেহমন ভালো থাকলে যেকোনো কাজ স্বতঃস্ফূর্তার সাথে করা যায়। সুতরাং, পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে শরীর মনের নিবিড় যত্ন নিতে হবে।
১. খাবার: গাড়ি যেমন ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন ইত্যাদি জ্বালানি থেকে শক্তি সঞ্চার করে চলে, ঠিক মানুষও খাদ্যাহারের মাধ্যমে জীবনীশক্তি পেয়ে বেঁচে থাকে। সুতরাং, সময়মতো স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
২. ঘুম: ঘুমের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। ঘুমের মাধ্যমে শরীর ও মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। ঘুমের মাধ্যমে আমাদের ক্লান্তি দূর হয়। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কথায় আছে, “দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া ও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যবান, বুদ্ধিমান ও সম্পদশালী করে।”
৩. দুশ্চিন্তা: স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ও পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও এর থেকে কোনোরূপ উপকার পাবেন না, যদি আপনার উপর দুশ্চিন্তা জেঁকে বসে। ছাত্রাবস্থায় দুশ্চিন্তা বলুন আর ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা যাই বলুন না কেন, এগুলো আপনার পড়াশোনা শেষ করে দিবে। সুতরাং দুশ্চিন্তা বা ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় জানুন আজই।
আগের বছরগুলোর প্রশ্নোত্তর দেখুন
গতবছর গুলোতে পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো দেখুন। এতে যেমন প্রশ্ন কাঠামো সম্পর্কে ধারণা জন্মাবে, ঠিক অনেক প্রশ্ন পরীক্ষায় কমনও পাবেন। তাই,
- প্রশ্ন কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পেতে আগের বছরগুলোর প্রশ্নোত্তর দেখুন।
- প্রশ্ন কমন পেতেও প্রশ্ন দেখুন।
না জানলেও সকল প্রশ্নের উত্তর দিন
পরীক্ষায় যে সকল প্রশ্ন কমন পাবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। যে সকল প্রশ্ন কমন পাবেন তার মধ্য থেকে যেগুলোর সুন্দর গোছানো উত্তর দিতে পারবেন সেগুলো আগে লিখুন। কমন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর, কমন না পাওয়া প্রশ্ন গুলোর উত্তরও দিন। উত্তর সঠিক না হলেও অনেক সময় এতে নাম্বার পাওয়া যায়। তাই হাতে সময় থাকলে কখনোই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আসবেন না।
পরীক্ষা শেষে ইতিবাচক মনোভাব রাখুন
সব সময়ই যে মনমতো পরীক্ষা দিতে পারবেন এমনটা নয়। কখনো পরীক্ষা খারাপ হলে ভেঙ্গে পড়বেন না। ইতিবাচক চিন্তা করুন। মনকে বোঝান– ‘যা হবার হয়ে গেছে। এখন এই নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা করলে কোনই কাজে আসবেনা।’ বরং ভুল থেকে শিক্ষা নিন কাজে আসবে।
পরীক্ষায় ভালো করতে ভুল থেকে শিক্ষা নিন
ভুল থেকে যে জন নেয় না কোনো শিক্ষা, সে জনই তো একই ভুলে পড়ে যে বারবার। কথায় আছে, ‘মানুষ মাত্রই ভুল।’ আপনি ভুল করবেন এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু একই ভুলে বারবার পতিত হওয়া বোকামি। এতে বোঝা যায়, আপনি পূর্বেকার ভুল থেকে শিক্ষা নেননি। পরীক্ষায় কোনো ভুল করলে সেটার সঠিকটা জেনে নিবেন। তাহলে পরবর্তী পরীক্ষায় এই একই ভুলটা আর হবে না।

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার দোয়া
জীবনটাই একটা পরীক্ষা। এবার জানবো শিক্ষাজীবনের পরীক্ষায় ভালো করার দোয়া। সর্বপ্রথম সঠিকভাবে পড়াশোনা করতে হবে। সারাবছর বই খুলে দেখলেন না, আর পরীক্ষার সময় দোয়া পড়েই ভালো নম্বর পেতে চান! তা হয় কি করে? আজকের আলোচনায় বলা কৌশলগুলো মেনে পড়াশোনা করুন। ইন শা আল্লাহ আপনার পড়ার মান আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
১. আল্লাহর উপর ভরসা: মনকে শক্ত করুন। আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করুন। আত্মবিশ্বাসহীনতার কারণে মস্তিষ্ক থেকে পড়া ভুলে যাবে। আল্লাহ অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তাকে ডাকুন। মনে বল পাবেন।
২. পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার সময়: পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করুন।
আরবি: بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহর ওপর ভরসা করে বের হচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো ভালো কাজ করার কিংবা মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা সম্ভব নয়।
৩. আল্লাহকে স্মরণ করুন: সকল ভালো কাজ আল্লাহর নামে শুরু করতে হয়। অতএব, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে পরীক্ষা করুন করবেন।
৪. স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দোয়া: স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠের অভ্যাস গড়ুন।
আরবি: رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
উচ্চারণ: রব্বি জিদনি ইলমা।
অর্থ: হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
৫. মুখের জড়তা দূর করতে: মৌখিক পরীক্ষায় মুখের জড়তা কাটাতে নিচের দোয়াটি পাঠ করুন।
আরবি: رَبِّ اشْرَحْ لِيْ صَدْرِيْ وَ يَسِّرْلِيْ أَمْرِيْ وَ احْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِيْ يَفْقَهُوْا قَوْلِيْ
উচ্চারণ: রব্বিশরহলি ছদরি, ওয়া ইয়াসসিরলি আমরি, ওয়াহলুল উক্বদাতাম মিল লিসানি, ইয়াফক্বাহূ ক্বওলি।
অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও এবং আমার কাজ সহজ করে দাও। আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
৬. নকল করবেন না: পরীক্ষায় অন্যের লেখা দেখে বা নকল করে পাশ করার চেয়ে নিজের অযোগ্যতায় ফেল করা ঢের ভালো। এতে শিক্ষা পাবেন। মনে রাখবেন, একজন সৎ ও আদর্শবান ছাত্র কখনো অসদুপায় অবলম্বন করতে পারে না। কীভাবে ভালো ছাত্র হওয়া যায় জানুন।
- সহীহ দোয়া ও যিকির মুখস্থ করতে হিসনুল মুসলিম অ্যাপটি ডাউনলোড করুন
দৃষ্টি আকর্ষণঃ উপরোক্ত দোয়া শুধু পরীক্ষার সময় আমল করার জন্য নির্ধারিত নয়, সর্বাবস্থায় আমলযোগ্য।

পরীক্ষার সময় অবশ্য করণীয়
কিছু কিছু ভুলের কারণে পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। অনেক সময় ভালো লিখেও ফলাফল হয় অনুত্তীর্ণ। পরীক্ষার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন তা একনজরে দেখে নিন–
- পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নিন। যা আপনি এতো দিনে শেষ করতে পারেননি তা এক রাতে শেষ করবেন? এটা ভাবলেন কি করে! দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রগুলি চেক করে ফাইলে রাখুন।
- দেখা যায় যে অনেক শিক্ষার্থীর সিট খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। পরীক্ষার দিন হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিন। যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্তত আধা ঘন্টা আগে পৌঁছাতে পারেন। পরীক্ষার হলে আগে পৌঁছালে আপনি হলের পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন।
- উত্তরপত্র হাতে পাবার সাথে সাথে খুব সর্তকতার সাথে সব পূরণ করুন। উত্তরপত্র পাবার পর সবার আগে রোল নাম্বার টা ফিল-আপ করুন। আর বাদ বাকি ইনফো গুলাও ঠিক ভাবে লিখুন। কারণ এগুলা ভুল হলে ১০০% মার্কেও আপনার সিরিয়াল আসবেনা।
- প্রশ্নপত্র হাতে পাবার পর তাড়াহুড়ো না করে প্রশ্নপত্রটা সম্পূর্ণ দেখে নিন। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালোভাবে জানা আছে সেগুলোর উত্তর আগে দিন।
- চেষ্টা করবেন প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে উত্তর দিতে। এতে খাতা দেখা সহজ হয়। তাই পরীক্ষকও খুশি হন। আর তিনি খুশি হলে নম্বর বেশি আসাটাও স্বাভাবিক।
- যেই প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়ে গেছে সেটা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাববেন না। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- কমন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর অবশ্যই আন-কমন প্রশ্নের উত্তর দিন।
- সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া শেষে খাতা রিভিশন দিন। অবশ্যই রোল নং, রেজিস্ট্রেশন নং, বিষয় কোড ইত্যাদি মিলিয়ে নিন।
পরিশেষে
প্রিয় পাঠক, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ব্যাপারে অনেক কথাই বললাম। এপর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মনে রাখবেন, কৌশল জানলেও সফলতা মিলবে না, যদি না তা অনুসরণ করেন। যাই হোক, লেখাটি পড়ে আপনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন! কমেন্ট বক্সে অনুভূতি ব্যক্ত করুন আর লেখাটি স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। আজকের মতো বিদায়…