বিড়াল একটি অন্যতম গৃহপালিত প্রাণী। বিড়াল খুব সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতে পারে এবং খুব সহজেই পোষ মেনে ফেলে বলে অধিকাংশ মানুষই শখের বসে বিড়াল পালন করে। বিড়াল অন্যসব গৃহপালিত প্রাণীর চেয়ে অধিকতর শান্তশিষ্ট। তবে একটা গৃহপালিত বিড়ালের সাথে রাস্তার বিড়ালের অনেক পার্থক্য। রাস্তার বিড়াল যেমন প্রতিকূল পরিবেশে ঠিকে থাকার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে, গৃহপালিত বিড়াল তা পারে না। তাই বিড়াল কেনা বা দত্তক নেওয়ার আগে তার সম্পূর্ণ পালনের নিয়মাবলি জানা প্রয়োজন।
তো চলুন বিড়াল পালনের সাধারণ কিছু নিয়ম, বিড়ালের খাবার তালিকা, বিড়ালের অসুস্থতায় করণীয়সহ বিড়াল সম্পর্কে জানা অজানা কিছু তথ্য জেনে আসা যাক। সাথে জেনে আসা যাক বিড়াল পালনে ইসলাম কী বলে।
Table of Contents
বিড়ালের বৈশিষ্ট্য
পৃথিবীতে স্তন্যপায়ী গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে অনতম হলো বিড়াল। পৃথিবী প্রায় পঞ্চাশ কোটি বিড়ালের আবাসস্থল। বিড়ালকে পরিষ্কার প্রাণীও বলা হয়। বিড়ালকে বলা হয় বাঘের মাসি। কারণ বাঘ বিড়াল জাতীয় প্রাণী। বিড়ালের শরীরে হারের সংখ্যা প্রায় ২৩০ থেকে ২৫০টি। একটা প্রাপ্ত বয়স্ক বিড়ালের দাঁতের সংখ্যা হয় ৩০টি। এরা ৪৮ কিলোমিটার বেগে দৌঁড়ানোর পাশাপাশি নিজেদের উচ্চতার চেয়ে পাঁচ গুণ উপরে লাফাতে পারে।
বিড়ালকে আবার ঘুমকাতুরে প্রাণীও বলা হয়। দিনের অধিকাংশ সময় তারা ঘুমিয়েই অতিবাহিত করে। এরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমায়। বিড়ালের শোনার ক্ষমতা, ঘ্রাণ নেওয়ার ক্ষমতা মানুষের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এরা রাতে মানুষের চেয়ে বেশি দেখতে পায়।
বিড়াল পালনের উপকারিতা
বিড়াল পালনের নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। বিড়ালকে উপকারী প্রাণীও বলা হয়ে থাকে এর বিভিন্ন উপকারী দিক থাকার জন্য। বিড়াল পালন মানুষের স্বাস্থ্যে ভালো প্রভাব ফেলে। নিচে বিড়াল পালনের কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমে: এক গবেষণায় জানা যায়, যারা বিড়াল পালন করে তাদের স্বাভাবিক লোকের থেকে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি ৩০ ভাগ কম। বিড়াল পালনে মানসিক চাপ কমে এবং মনে বাজে প্রভাবও তেমন পড়ে না। তাই হৃদরোগের জন্য বিড়াল পালন একটি ভালো অভ্যাস হতে পারে।
- বিড়ালের ডাক থেরাপির ন্যায় কাজ করে: বিড়ালের মিউ মিউ ডাক অনেক সুন্দর এবং শ্রুতিমধুর। বিড়াল সবসময় এমন ডাকে তেমনটাও না, তবে যখন ডাকে এটা আমাদের শরীরে থেরাপির ন্যায় কাজ করে। গবেষণায় দেখা যায় ১৮ থেকে ৩৫ হার্জ মাত্রার শব্দতরঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত অস্থির সন্ধির ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে। এইদিকে বিড়ালের মিউ মিউ ধ্বনিটার আওয়াজ হয় ২০ থেকে ১৪০ হার্জের মধ্যে যা আমাদের অস্থিসন্ধিতে থেরাপি হিসাবে কাজ করে।
- রাগ কমায়: বিড়াল একটি শান্তশিষ্ট প্রাণী। এর সাথে থাকাকালীন মনের রাগ উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে মানুষ একটি সুস্থ পরিবেশ পায়।
- শিশুর এলার্জি হওয়ার ঝুঁকি কমে: ২০০২ সালে ন্যাশনাল হেলথ ইন্সটিটিউটের গবেষণায় প্রমাণিত যে, এক বছরের নিচে যেসব শিশু বিড়ালের সাথে খেলা করে বা সময় কাটায় তাদের বিভিন্ন ধরণের এলার্জি হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- ভালো ঘুম হয়: ভালো ঘুম হওয়ায় বিড়ালের ভূমিকা অনেক। বিড়াল সাধারণত মানুষের সাথে ঘুমাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বিড়াল সাথে ঘুমালে ভালো ঘুম হয় সাথে সে ঘুমের সাথী হিসাবেও ভূমিকা রাখে। বিড়াল আপনার ঘুমে পাহারাদারের ভূমিকাও পালন করে থাকে। এক পরিসংখ্যানে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ জানায় বিড়ালের সংস্পর্শে তাদের ভালো ঘুম হয়।
- নারীরা আকৃষ্ট হয়: বিড়াল গবেষক ড. জুন ম্যাক নিকোলাসের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৯০% নারী ওইসব পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট এবং মুগ্ধ হয় যারা কিনা বিড়াল জাতীয় প্রাণী পালন করে। বিড়াল পালনকারী পুরুষদের নারীরা যত্নশীল মনে করে।
- ঘরের ক্ষতিকর প্রাণী ধ্বংস করে: বিড়ালের একটি অতি প্রয়োজনীয় দিক হলো এটি ঘরের ক্ষতিকর প্রাণীদের ধ্বংস করে। এতে ঘরের পরিবেশ ঠিক থাকে।
- বিভিন্ন ধরণের অপশক্তি দূর করে: রাশিয়ার একটি গ্রামে প্রচলিত ধারণা আছে বিড়াল বিভিন্ন অপশক্তি রোধ করে। যে ঘরে বিড়াল পালন করা হয় সে ঘরে কোনো অপশক্তি ভর করতে পারে না।
- সময় কাটানোর সঙ্গী: একাকীত্বের সাথী বিড়াল। বিড়াল মানুষের মনের প্রশান্তি এনে দেয়। বিড়াল পালনে মনের কষ্ট, একাকীত্ব ইত্যাদি দূর হয়। মন পরিষ্কার রাখার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো গৃহপালিত বিড়ালের সাথে সময় কাটানো।
বিভিন্ন পোষা প্রাণীর উপর আমাদের লেখাগুলো পড়তে পোষা প্রাণীর যত্ন বিষয়ক বিভাগটি ঘুরে দেখুন।
বিড়াল পালনের আগে করণীয়
বিড়াল পালনের আগে আপনার কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে বিড়াল পালায় আপনাকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতে পারে। প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কি বিড়াল পালতে পারবেন কিনা। বিড়াল যেহেতু একটা আদুরে প্রাণী আপনার প্রথমেই নিশ্চিত হতে হবে আপনি তাকে আদর বা যত্ন করতে পারবেন কিনা। তারপর জানা প্রয়োজন আপনার পরিবারের সকলেই এই বিড়াল পালনে সম্মতি দিবে কিনা। কারণ পরিবারের অন্যরা রাজি না থাকলে আপনার দত্তক নেওয়া বা পালন করার উদ্দেশ্যে আনা বিড়াল অত্যাচারের স্বীকার হতে পারে। বিড়াল আনার আগে অবশ্যই একটি সুস্থ বিড়াল আনবেন—নয়তো রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে।
বিড়াল পালনের নিয়ম
কত প্রাণী কত অবহেলায় জীবন পার করছে। তবে যেখানে আমাদের সুযোগ আছে তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর তাহলে আমরা পিছিয়ে থাকব কেন? বিড়াল পালন করা একটি উত্তম গুণ। তাহলে চলুন বিড়াল পালনের নিয়ম নিয়ে এপর্যায়ে আলোচনা করা যাক:
- বিড়াল পালনের জন্য আপনার ভবনকে প্রথমে প্রস্তুত করুন। বিড়ালের জন্য বিপজ্জনক জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সে জায়গাগুলো নিরাপদ রাখার চেষ্টা করুন।
- বিভিন্ন পোকামাকড়ের বিষ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ভুলবশত এসব বিষ বিড়াল খেয়ে ফেললে প্রাণ সংশয় হতে পারে।
- চুলা অকারণে জ্বালিয়ে না রাখা। অকারণে চুলা জ্বালিয়ে রাখলে বিড়ালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ বিড়াল বিপজ্জনক বিষয়গুলো বুঝে না।
- বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষা করে রাখা উচিত। বৈদ্যুতিক তারের পাশে পানি ফেলে রাখা যাবে না অথবা ছেড়া তার ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
- মাশরুম বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর। তাই মাশরুম জন্মালে তা তুলে ফেলুন।
- বিড়াল জন্মানোর পর তাকে প্রয়োজনীয় টিকা দিতে হবে। জলাতঙ্ক টিকা দিতে হয় তিন মাস বয়সে। এসব টিকা দেওয়া থাকলে অন্য প্রাণীর আঁচড়ে যেমন বিড়ালের কোনো ক্ষতি হয় না, তেমনি বিড়াল খামচে দিলেও মানুষের ক্ষতি হয় না।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিড়ালের খাবার দিকে খেয়াল রাখা।
বিড়ালের খাবার তালিকা
বিড়াল পালনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো বিড়ালের খাবার তালিকা প্রস্তুত করা। বয়স ও ধরণ অনুযায়ী বিড়ালের খাবারে আছে কিছু পার্থক্য। ছোটো বাচ্চা থেকে বয়স্ক বিড়াল অথবা গর্ভবতী বিড়ালের ক্ষেত্রে খাবারের ধরণ আলাদা হয়।
নিচে বিড়ালের খাবার তালিকা দেওয়া হলো:
- শূন্য সপ্তাহ- ৪ সপ্তাহ: জন্মের পর থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা বিড়াল শক্ত কোনো খাবার খেতে পারে না। তারা শুধু তরল দুধ পান করে। এসময় বাচ্চা বিড়াল যদি তার মায়ের সাথে থাকে তাহলে খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। মা বিড়াল তার স্তন পান করিয়ে বাচ্চা বিড়ালের চাহিদা পূরণ করে। তবে বাচ্চা বিড়াল তার মায়ের সাথে না থাকলে তাকে তরল জাতীয় দুধ খাওয়াতে হবে ফিডার দিয়ে। যেমন- গরুর দুধ অথবা প্যাকেটের দুধে পানি মিশিয়ে।
- ৪ সপ্তাহ – ১২ সপ্তাহ: ৪ সপ্তাহ থেকে বিড়ালের দুধের পাশাপাশি অন্য কোনো নরম খাবার দিতে হয়। বিড়াল মূলত মাংসাশী প্রাণী। তাই এসময় বিড়ালকে কিছু মাংস হাড় ছাড়া সিদ্ধ করে থেতলিয়ে দিতে হবে। তাছাড়া কাটা ছাড়া যেকোনো ধরণের মাছ সিদ্ধ করে দেওয়া যায়। তবে এসময় খাবারে কোনো মসলা ব্যবহার করা যাবে না।
- ১২ সপ্তাহ পর: ১২ সপ্তাহ হওয়ার পর বিড়াল সব ধরণের খাবার গ্রহণের উপযুক্ত হয়। তখন পেয়াজ রসুন ছাড়া মাংস, মাছ ইত্যাদি সিদ্ধ করে দিতে হবে। তবে কাঁচা মাছ, মাংস না দেওয়াই ভালো; এতে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। বিড়ালের সুস্থতার কথা বিবেচনায় রেখে তাদের সবসময় বিশুদ্ধ পানি দিতে হয়।
- গর্ভবতী বিড়ালের খাবার: গর্ভবতী হওয়ার সময় বিড়ালের পুষ্টি প্রয়োজন স্বাভাবিক অবস্থার থেকে ৫০ গুণ বেশি। তাই তখন বিড়ালের আলাদা যত্ন প্রয়োজন। তাছাড়া মা বিড়ালেরও অধিক যত্নের প্রয়োজন।
বিড়াল অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ
বিড়াল অসুস্থ হওয়ার অনেক লক্ষণ আছে। বিড়াল যেহেতু একটি বোবা প্রাণী, সেহেতু সে নিজের অসুস্থতার কথা নিজে বলতে পারবে না। বিড়ালকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তার অসুস্থতার লক্ষণগুলো বুঝতে হবে। নিম্নে বিড়াল অসুস্থ হওয়ার কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হলো:
- যদিও বিড়াল অত্যধিক পরিমাণে ঘুমায়, তবুও অসুস্থ হওয়ার পর বিড়াল তার দৈনন্দিন রুটিনের থেকে আরো বেশি ঘুমাবে। তাই বিড়ালের ঘুম পর্যবেক্ষণ করে বুঝা যায় সে অসুস্থ কিনা।
- খাওয়া-দাওয়া আগের থেকে কমিয়ে ফেলা বিড়ালের অসুস্থ হওয়ার একটি অন্যতম লক্ষণ। অসুস্থ শরীরে বিড়ালের ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়।
- অসুস্থ হলে বিড়ালের মধ্যে চাঞ্চল্যবোধ মরে যায়। তখন সে ঝিমায়। তাছাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডাকে।
বিড়াল অসুস্থ হলে করণীয়
যদি আপনার পালিত বিড়ালের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখার মাধ্যমে নির্ণয় করেন সে অসুস্থ, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তাকে পশুডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে বিড়ালের।
বিড়াল খাবার না খেলে করণীয়
হঠাৎ বিড়াল খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিলে বুঝতে হবে বিড়ালটি অসুস্থ। তাই তখন যতদ্রুত সম্ভব বিড়ালটিকে নিকটস্থ পশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনবোধে বিড়ালের জন্য উপযুক্ত ক্রিমি নাশক খাওয়াতে হবে।
শেষ কথা
বিড়াল পালন একটি শখ হওয়ার পাশাপাশি এর বহু উপকারী দিক আছে। কত প্রাণী মানুষের অবহেলায় যেখানে প্রতিদিন লড়ছে জীবন বাঁচাতে, সেখানে আমাদের সুযোগ আছে একটি বিড়াল পালন করে তাকে সুন্দর একটা পরিবেশ দেওয়ার। তাই সকলের উচিত বিড়াল পালন করা।
প্রশ্নোত্তর
বিড়ালের আঁচড় কি ক্ষতিকর?
ক্ষত অনুযায়ী এর ক্ষতিকর প্রভাব বুঝা যায়। বিড়াল যদি হালকা আঁচড়ে দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে তরল অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে ধুয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে সেটা যদি গভীর ক্ষত হয় যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে আগেই বলা হয়েছে যে, বিড়ালের জন্মের পর যদি তাকে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয় তাহলে তার আঁচড় বা কামড়ে কারোর ক্ষতি হয় না।
বিড়াল কামড়ালে কি হয়?
বিড়ালে কামড়ালে তার মুখ থেকে এক ক্ষতিকর জীবাণু দেহে প্রবেশ করে বংশ বিস্তার করতে পারে। ফলে জলাতঙ্কের মত রোগ হতে পারে।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়?
বিড়াল কামড়ালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম টিকা দিতে হয়। তৃতীয় দিন, সপ্তম দিন, ১৪ তম দিন, ২৮ তম দিনে টিকা দিয়ে শেষ করতে হয়।
বিড়াল কামড়ালে কোন ভ্যাকসিন দিতে হয়?
বিড়ালে কামড়ালে Rabies (রেবিস) নামক টিকা দিতে হয়।
বিড়াল পালা কি জায়েজ?
বিড়াল পালা জায়েজ। হাদিস শরীফে আছে, আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘জনৈক মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেওয়া হয়। সে বিড়ালটিকে বন্দি করে রাখে, এ অবস্থায় সেটি মারা যায়। সে এটিকে বন্দি করে রেখে পানাহার করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে (নিজে) জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৮২)
এ থেকে আবু হুরাইয়া (রা.) বলেন, “বিড়াল পালা জায়েজ।”
বিড়াল কত দিনে বাচ্চা দেয়?
বিড়াল ছয় মাস বয়স থেকেই বাচ্চা দিতে সক্ষম। প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে বিড়াল বাচ্চার জন্ম দিয়ে থাকে।
বিড়াল কত বছর বাঁচে?
যেকোনো স্বাভাবিক বিড়াল গড়ে ১৪ থেকে ১৬ বছর বাঁচে।