অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা কিছু কিছু মানুষের কাছে হয়তো স্বপ্ন, কারো কারো হয়তো জীবনের একমাত্র লক্ষ্য আবার কারো কারো ক্ষেত্রে জীবনের আরো বড় কোনো লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি সহায়ক কেবল। কিন্তু যাই হোক না কেন, দিন শেষে এই প্রত্যেকটি মানুষই আশা করেন যে অস্ট্রেলিয়ান অ্যাম্বাসি থেকে কোনো একদিন তার পাসর্পোটের উপর অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসার সিলটি ঠিকই পড়বে।
বিশ্বের যে কয়টি দেশে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পাড়ি জমায় তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান তৃতীয়। বিশ্বের নামীদামী বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে এই দেশটিতে।
তাই তো শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর আরও নানা দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা বেশ সমাদৃত একটি বিষয়। মোটামুটি অন্যান্য দেশের তুলনায় কম খরচে শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা করার জন্য এই দেশটি বেশ জনপ্রিয়।
কিন্তু চিরচেনা নিজের সেই অতি পরিচিত এলাকা, গ্রামের মেঠো পথ ছেড়ে সম্পূর্ণ অজানা অচেনা একটি দেশে পাড়ি জমানোর আগে জেনে নেওয়া উচিত না সেই দেশের অবস্থান কি রকম, কিভাবে সেখানে যেতে হয়, সে দেশের ভিসা পাবার জন্য বিশেষ কোনো শর্তাবলী আছে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি?
আপনিও যদি এমনই একজন মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। এখানে অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে একদম আদ্যোপান্ত যা কিছু আছে সব কিছুই আপনি জানতে পারবেন।
তো চলুন, আর দেরি না করে শুরু করে দেওয়া যাক।
অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা এর জন্য প্রস্তুতি নিবেন কিভাবে?
একটা কথা আছে, “কাজের পূর্ব পরিকল্পনা সেই কাজের ৫০% কাজ করে ফেলার সমান।” অর্থাৎ আপনি যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে কোনো একটি কাজ করে থাকেন, তাহলে সেই কাজটি আপনার আসল কাজটি করে ফেলার ৫০% এর সমান কাজ হয়ে যাবে।
অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসাও তার ব্যতিক্রম নয়। আপনাকে এখানেও সঠিকভাবে পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগাতে হবে।
তো চলুন, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
১। পারিবারিক আর্থিক অবস্থা
অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি চাকরি করে যদি আপনি সেখানে থাকার কথা চিন্তা করেন, তাহলে কিন্তু আপনার জন্য কিছুটা রিস্ক হয়ে যেতে পারে।
অন্তত সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি আপনি অবশ্যই চাকরি করবেন এবং সেটা অবশ্যই আপনাকে কিছুটা হলেও হেল্প করবে কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র ওই এক ভরসাতেই অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান, তাহলে কিন্তু আপনার বিপদের সম্ভাবনা সমূহ।
তাই আপনার পারিবারিক আর্থিক অবস্থানের দিকেও কিছুটা লক্ষ রেখে আপনাকে সামনের দিকে আগাতে হবে।
অনেকে আবার ধারদেনা করে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনটা করার কোনো প্রয়োজন নেই। মনে রাখবেন, আপনি অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন।
এটা এমন কিছু নয়, যেটা না হলে আপনার জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাই এটা নিয়ে হতাশ হয়ে যাওয়ার কিছু নেই।
২। ইংরেজী ভাষাতে পারদর্শীতা
অস্ট্রেলিয়াতে বেশিরভাগ মানুষ ইংরেজীতে কথা বলে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনাকেও ইংরেজীতে কথা বলতে হবে। তাই আপনি যদি অবিচল ভাবে ইংরেজীতে কথা বলতে না পারেন, তাহলে কিন্তু আপনার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাগিয়ে নেওয়াটা বেশ কষ্টকর হবে।
আপনি যদি বাংলা মিডিয়ামের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার IELTS এ কমপক্ষে ৬ স্কোর থাকতে হবে। তবে আপনি যদি ইংরেজী মিডিয়ামের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য IELTS না দিলেও চলবে।
৩। কোন বিষয়ে পড়তে যাবেন?
আপনি কোন বিষয় নিয়ে পড়তে যেতে চান, সেটি কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিদেশের মাটিতে তাদের দেশের চাকরির বাজার অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি ডিমান্ড লিস্ট থাকে।
অর্থাৎ যে বিষয়ের চাকরির বাজারের চাহিদা বেশি আপনি যদি সেই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য পড়াশোনা করে শেষ চাকরি পাওয়ার চান্স খুব বেশি।
আবার এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিমান্ড লিস্টে নেই এমন বিষয়ের টিউশন ফি অনেক বেশি দেখা যায়। অনেক সময় আবার শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-ধামের কারণেও টিউশন ফি বেশি হয়ে থাকে।
তাই অনেকেই অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে টিউশন ফি বেশি দেখে বিষয় পরিবর্তন করতে চান। কিন্তু তখন সেটি আরো অনেক বেশি জটিল প্রক্রিয়া হয়ে যায়।
তাই আগে থেকেই এই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া ভালো।
৪। নিয়মিত আপডেট থাকুন
অনেক সময়ই দেখা যায় এই ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে ভর্তির জন্য আবেদন করতে করতে কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ই পার হয়ে যায় কিংবা আপনার পচ্ছন্দের বিষয়টি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিমান্ড লিস্ট থেকে বাতিল হয়ে যায়।
তাই সব সময়ই চেষ্টা করুন নিয়মিত আপডেট থাকতে থাকতে।
৫। স্পন্সর বা গ্যারান্টর নিশ্চিত করুন
অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে আপনি পড়াশোনার খরচ নিজেরটা নিজে চালাতে পারবেন কি না এই বিষয়ে আপনাকে ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রেখে তার কিছু স্টেটমেন্ট দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
এখানে সাধারণত আপনার বাবা মা’র ব্যাংক স্টেটমেন্ট বেশি প্রয়োজন পড়ে এবং এদেরটাই বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। সেক্ষেত্রে আপনার বাবা মাকে আপনার স্পন্সরশিপ বা গ্যারান্টর বলা হয়ে থাকে।
অনেকে এক্ষেত্রে বাবা মাকে না দেখিয়ে নিজের কোনো আত্নীয়-স্বজনকে দেখিয়ে থাকেন। সেটাও করা যেতে পারে, তবে বাবা-মাকে স্পন্সরশিপ বা গ্যারান্টর হিসেবে দেখালে সেটা বেশি গুরুত্ব পায়।
একটা সময় অবশ্য নিজের স্পন্সরশিপ বা গ্যারান্টর নিজে হওয়া গেলেও এখন আর তেমনটা করার খুব একটা সুযোগ নেই।
৩ বছরের জন্য আপনার কোর্স ফি যদি ৫০ হাজার ডলার হয়, তাহলে এক বছরে আপনাকে ১৬ হাজার ৬৬০ ডলার কোর্স ফি বাবদ খরচ ও তার সঙ্গে অন্যান্য খরচ আপনার স্পন্সরের ব্যাংকে দেখাতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবদেন করার প্রক্রিয়া জানার আগে আপনার জানা প্রয়োজন আসলে এই আবেদন প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে।
আপনি চাইলে সরাসরিভাবে অস্ট্রেলিয়ায় নিবন্ধিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি আবেদন করতে পারেন অথবা সেই বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত এজেন্টদের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন।
এক্ষেত্রে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যদি আপনার আবেদন অ্যাপ্রুভ করে থাকে, তাহলে ইনশা আল্লাহ আপনার আর খুব একটা সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন
১। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র স্ক্যান করে ভিসা আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। কোনো কাগজপত্র ইংরেজীতে না হলে সেটি অনুমোদিত অনুবাদকের সাহায্যে অনুবাদ করে তারপর যুক্ত করে দিতে হবে।
আবেদন পত্রে যেসব কাগজপত্র যুক্ত করবেন, সেগুলো হলো:
- সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠি (কর্নফারমেশন অব এনরোলমেন্ট)
- স্বাস্থ্য বিমার প্রমাণপত্র—সাধারণত ভর্তির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠির সঙ্গেই থাকে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র।
- জন্ম সনদ।
- বর্তমান ও আগের পাসপোর্টের ব্যবহৃত পাতা।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা (সকল বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট) ও কর্ম-অভিজ্ঞতা সনদ।
- অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে দেওয়া বিবৃতি যা ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ হিসেবে পরিচিত। যেখানে সংশ্লিষ্ট কোর্সের মাধ্যমে আবেদনকারী কীভাবে উপকৃত হবেন তার ব্যাখ্যা থাকবে।
- পূরণকৃত অর্থনৈতিক সামর্থ্যের (স্পন্সর বা গ্যারান্টর) ফরম।
- স্পন্সরের সঙ্গে আবেদনকারীর সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে জন্ম-সনদ, পাসপোর্ট কিংবা স্কুলের কাগজপত্র।
- স্পন্সরের আয়ের উৎসের বিস্তারিত কাগজপত্র।
- সশস্ত্রবাহিনীতে কাজ করার ইতিহাস থাকলে সেখানে কাজের রেকর্ড ও ছাড়পত্র।
- কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ( যা ১২ মাসের বেশি পুরোনো নয়)।
- বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী, সন্তানদের সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে জন্ম সনদ ও বিবাহ সনদ।
- স্বামী-স্ত্রী কেউ মারা গিয়ে থাকলে বা বিচ্ছেদ হয়ে থাকলে মৃত্যুসনদ বা বিচ্ছেদসংক্রান্ত কাগজপত্র।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রমাণপত্র।
২। স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফি ও জমাদান প্রক্রিয়া
ভিসা আবেদনপত্র পূরণ করা শেষ হলে আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই ভিসা ফি দিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে ৫৬০ অস্ট্রেলিয় ডলার বা তার সমমূল্য টাকা ভিসা ফি হিসেবে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডেও পরিশোধ করা যায়।
৩। অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন পরবর্তী প্রক্রিয়া
ইমি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা হয়ে গেলে ভিসাটি যাচাই করে কিছুদিনের মধ্যেই যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অতিরিক্ত তথ্য চেয়ে ভিসা বিভাগ ইমেইল করতে পারে। এছাড়া ইমি অ্যাকাউন্টেই ভিসার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যাবে। ভিসা মঞ্জুর হয়ে গেলে ভিসা নম্বর ও শর্তাবলি জানিয়ে দিয়ে আবার ভিসা বিভাগ ইমেইল করে। আর ভিসা মঞ্জুর না হলে এর কারণগুলোও জানিয়ে দেওয়া হয়।
অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা হয়ে গেলে কি করবেন?
ভিসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল আবশ্যিক শর্ত এবং এক সেমিস্টারের টিউশন ফি জমা দিলে সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসা মঞ্জুর হয়।
তারপর প্লেনে চড়ে বহুদিনের স্বপ্ন ধরতে আর কোনো বাঁধা থাকে না।
তবে একটা ধাক্কা অস্ট্রেলিয়া এসে অনেকেই খান।
সেমিস্টার ফি, বিমানের টিকিট, মাসখানিক চলার মতো নগদ অর্থ সব মিলিয়ে প্রায় লাখ দশেক টাকা খরচ করার পর কিছুদিনের মধ্যেই আবার যখন সেমিস্টার ফি সহ অন্যান্য খরচের জন্য বিশাল অঙ্কের টাকার প্রয়োজন পড়ে, তখন ধাক্কাটা অনেক বড় লাগে।
বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর নিজের খরচটা নিজেকেই জোগাড় করতে হয়। এদেশে আসা প্রায় সব শিক্ষার্থীরা এমনটাই করেন।
কিন্তু বাংলাদেশে থাকতে সাধারণত যেহেতু কেউ কাজ করেন না, কিন্তু এখানে এসে খরচ জোগাড় করতে গিয়ে অনেকেই রাতদিন কাজ করে হাঁপিয়ে ওঠেন।
সে জন্য দেশে থাকতেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে কঠোর পরিশ্রম করার, যদি না পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয়।
এখানে কাজের ফাঁকে লেখাপড়া নয়, লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকেই কাজ করতে হয়।
পড়াশোনা অবশ্যই ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে হয়। কোর্স নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হয়। ক্লাসে উপস্থিতির হার ও পরীক্ষায় পাশের গরমিল হলে ভিসা যেকোনো মুহূর্তেই বাতিল হয়ে যেতে পারে।
আর এটা কথার কথা ভাবলে বিপদ নিশ্চিত!
ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে আমরা চাই যে, আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন। কিন্তু নানা রকম জটিলতা থাকার কারণে অনেকেই সাধারণত এই ঝামেলায় যেতে চান না।
সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন। আমরা পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করে থাকি।
আমাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা:
FAQs: Australia Student Visa in Bangladesh
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত?
উত্তর: অনেকেই জানতে চান— অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনার জন্য কেমন খরচ হতে পারে বা অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ মিনিমাম ১২ লাখ বাংলাদেশী টাকার মত পড়ে ডিপ্লোমার জন্য। এটা ব্যাচেলর, মাস্টার্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে।
IELTS ছাড়া কি অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা হয়?
উত্তর: ক্ষেত্র বিশেষে IELTS ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়।
অস্ট্রেলিয়াতে ডিপ্লোমা / ব্যাচেলর / মাস্টার্স এর জন্য কত বছরের স্টাডি গ্যাপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে?
উত্তর: সাধারণত ডিপ্লোমা / ব্যাচেলরের জন্য ২-৩ বছর এবং মাস্টার্স এর জন্য গ্রাজুয়েশন এর পরে জব এক্সপেরিয়েন্স থাকলে ৫ বছরের বেশিও গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি Australian Embassy ফেস করতে হয়?
উত্তর: না, অনলাইনে সাবমিট করতে হয়।
পরিশেষ
অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। এমনকি অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়াশোনা করাও খুব কঠিন কোনো বিষয় না। শুধু দরকার, আপনার ইচ্ছা শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম।
আপনার প্রতি শুভ কামনা রইল। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন।
i am a student, i completed my Graduation now i want to apply for Master’s programme in Australia with my Husband… Let me sure how much money we need to ready for study purpose.
Please talk to the Get Study Supports agency to know about your query in detail.
Very informative content. Thanks StudyKoro.
We’re happy to see your kind feedback.