ডিজিটাল মার্কেটিং বা Digital Marketing: যেকোনো ব্যবসা চালিয়ে যেতে বা ব্যবসার উন্নতি করার জন্য প্রয়োজন প্রচারণা। ব্যবসা করতে হলে প্রচারণা বা মার্কেটিং করতেই হবে। আধুনিক এই যুগে যেহেতু সবকিছুই ডিজিটাল, তাহলে মার্কেটিং কেন পিছিয়ে থাকবে? তাই এখন ব্যবসার প্রচারণাও হয় ডিজিটালভাবে। ব্যবসার প্রচারণার গুরুত্ব ব্যবসার শুরু থেকে থাকলেও আধুনিক এই যুগে সেই প্রচারণাও হয়েছে আধুনিক। আর এই আধুনিকভাবে ব্যবসার প্রচারণাকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)।
আজকাল ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। আমরাও প্রতিনিয়ত কোনো পণ্য কিনতে গিয়ে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়ছি। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা এতো বেশি। বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশের খুব কম মানুষই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানে।
যাহোক এবার চলুন— ডিজিটাল মার্কেটিং কি (What is digital marketing?), কেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন বা কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা সম্ভব, ক্যারিয়ার হিসাবে ডিজিটাল মার্কেটিং বেছে নেওয়া ঠিক হবে কি না, কোথা থেকে Digital Marketing শিখবেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক!
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
সাধারণত আমরা মার্কেটিং বলতে বুঝি কোনো প্রডাক্ট বা সেবার প্রচারণা করা। তবে সেই প্রচারণা যদি ডিজিটালভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে করা হয় তখন সেটা হয়ে যায় ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)। আরো সহজ ভাষায় ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে সম্পাদিত মার্কেটিংকে বোঝায়। সাধারণত কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট বা অন্য ডিভাইসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচারাভিযান চালানো হয়।
কেন Digital Marketing করবেন?
বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) এর চাহিদা ব্যাপক। তার অবশ্য কারণও আছে। এখন মনে করেন আপনি একটি স্মার্টফোন ক্রয় করতে চান। তার জন্য কোন মডেলটি ভালো হবে সেটা জানা কিন্তু জরুরি। তো তখন আপনি কি স্মার্টফোন কোম্পানিতে গিয়ে জিজ্ঞেস করবেন যে কোন স্মার্টফোনটা ভালো হবে? না, আপনার জন্য সহজ উপায় হলো গুগলে গিয়ে সার্চ দেওয়া যে “best smartphones in 2023″। তখন গুগল আপনাকে কিছু ফোনের মডেল সম্পর্কে ধারণা দিলো। তাহলে কিন্তু গুগল থেকে ধারণা নিয়ে আপনি স্মার্টফোন ক্রয় করে নিলেন। তো এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধায় আপনি উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি স্মার্টফোন কোম্পানিরও লাভ হলো। তো এভাবেই প্রতিনিয়ত ডিজিটাল মার্কেটিং পণ্য বা সেবার ভালো দিকগুলো উপস্থাপন করে ক্রেতা ও বিক্রেতার চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।
তাছাড়া আজকাল তো আমরা দোকানে দোকানে গিয়ে পণ্য দেখে পছন্দ করাকে বিরক্তিকর মনে করি। তাই আমাদের প্রয়োজন মিটানোর জন্য আমরা অনলাইনের সাহায্য নিয়ে থাকি। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই সময় বাঁচে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
এখন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার আগে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি? তাছাড়া আদৌও কি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ আছে? বা এমনও তো হতে পারে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলেন তারপর ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং কোনো কাজেই আসলো না। তাই এই পর্যায়ে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবো।
বর্তমান যুগে মানুষ পণ্য বা সেবা নেওয়ার জন্য ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে উঠছে। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার পাশাপাশি মানুষ কর্মজীবনেও ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এখন সময় বাঁচানোর জন্য সেবা নিতে মানুষ ব্যবহার করছে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম। অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে যেহেতু নিজে উপস্থিত থেকে সেবা নেওয়া যায় না সেহেতু মানুষ ইন্টারনেটে সেই পণ্য বা সেবার রিভিউ দেখে। আর এটা সম্ভব হয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর দরুন।
সেই দিনও বেশি দূরে নয়, যেদিন আর মানুষ নিজে গিয়ে পণ্য বা সেবা গ্রহণ না করে, অনলাইন থেকেই সেবা নিবে। আর যে প্লাটফর্ম থেকে সেবা নিবে তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটা জানতে সাহায্য করবে ডিজিটাল মার্কেটিং। তাই মানুষের ইন্টারনেট এর প্রতি যত চাহিদা বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ততোই প্রয়োজন বাড়বে।
এখন ব্যবসা করতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প নেই। ভবিষ্যতে সেই চাহিদা আরো অনেক বাড়বে। যদি আপনার পণ্য বা সেবাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে প্রমোট না করেন তাহলে মানুষ আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পারবে না। তাহলে আপনার পণ্য কেউ ক্রয়ও করবে না। তাই এই কথাটা স্পষ্ট যে ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং আরো চমকপ্রদ হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইলে কী প্রয়োজন?
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে যেহেতু কম্পিউটার প্রয়োজন, তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)। তাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কেও জানা জরুরি। তাছাড়া বিভিন্ন চিত্র, গ্রাফিক্স জানা থাকলে এগুলো অতিরিক্ত কাজে লাগবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব?
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার জন্য আপনি ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে চাইলে আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। তবে ইউটিউব দেখে শিখার ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না বা আপনার তাগিদও থাকবে কম। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার জন্য আপনি কোর্স করতে পারেন। পরবর্তীতে আমরা এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিসর ব্যাপক। ওল্ড স্কুল মার্কেটারদের মতে, ডিজিটাল মার্কেটিং প্রধানত দুই প্রকার: অনলাইন মার্কেটিং ও অফলাইন মার্কেটিং। অনলাইন মার্কেটিং তো আমরা জানিই যে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে মার্কেটিং। তবে এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, অফলাইন মার্কেটিং হলে তো সেটা ডিজিটাল মার্কেটিং হবে না তাই না। আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং মানে শুধু ইন্টারনেট এর মাধ্যমে হবে এমন না, ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে যে মার্কেটিং করা হয় তাই আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)।
তাছাড়া আগেই বললাম যে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রধানত দুই প্রকার হলেও এর পরিসর ব্যাপক। ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিসর বাড়ার কারণে একে সাধারণত আটটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- অনলাইন বিজ্ঞাপন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ইনবাউন্ড মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- অনলাইন প্রেস
- রিলিজকন্টাক্ট মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কী কী?
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার তা তো জানলাম। এই পর্যায়ে আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো কি কি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো হলো:
- Search Engine Optimization (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
- Content Marketing (কনটেন্ট মার্কেটিং)
- Social Media Marketing (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং)
- Email Marketing (ইমেইল মার্কেটিং)
- Affiliate Marketing (অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং)
- Pay-Per-Click (PPC)/Paid Advertising (পে পার ক্লিক/পেইড অ্যাডভার্টাইজিং)
১. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন: সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে সংক্ষেপে বলে এসইও। এসইও হলো একটি মাধ্যম। যার মাধ্যমে মানুষ সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার খবর সবার কাছে পৌঁছে দেয়।
২. কন্টেন্ট মার্কেটিং: আগেই একটা উদাহরণ দিয়েছিলাম যে আপনি কোনো ফোন কিনার আগে নিশ্চয়ই গুগলে সার্চ দিয়ে দেখবেন কোন মডেলটি ভালো । এই যে আপনি কোনো পণ্য কিনার আগে ইউটিউব বা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই পণ্য বিষয়ে রিভিউ দেখলেন এটিই হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের মাধ্যমে পণ্যের সুবিধাজনক ও ভালো দিকগুলোর প্রচার করা। এই কাজে ব্যবহৃত প্লাটফর্মগুলো হতে পারে- ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি।
৪. ইমেইল মার্কেটিং: ইমেইল মার্কেটিং হলো ইমেইলের মাধ্যমে এমন লোকদের আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাঠানো যারা আপনার পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী।
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো নিজ ব্যবসা বা পণ্য অথবা কমিশনের ভিত্তিতে অন্যের ব্যবসা বা পণ্যের প্রমোট বা মার্কেটিং করা।
৬. পে-পার-ক্লিক: PPC এর পূর্ণরূপ pay-per-click, যা একটি ডিজিটাল বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যেখানে বিজ্ঞাপনদাতা তার বিজ্ঞাপনের প্রতি ক্লিকের বিপরীতে ফি প্রদান করে থাকে। টার্গেটেড ভিজিটরদের নিকট নিজ ওয়েবসাইটের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে এটা করা হয়।
ধরুন, আপনি বিজ্ঞাপনের প্রতি ক্লিকের বিপরীতে $১ প্রদান করবেন Ad Network-কে, কিন্তু ক্লিক করে আসা ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট থেকে $100 এর পণ্য ক্রয় করল, তখন আপনি পে-পার-ক্লিক পদ্ধতির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে বেশ লাভ করলেন।
PPC বিজ্ঞাপন হতে পারে কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অথবা এসবের সংমিশ্রণে। গুগল সার্চ অ্যাডভার্টাইজিং হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় পিপিসি ফর্ম।
কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন
আমি আগেই বলেছি ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসার প্রচারণার আধুনিক রূপ। এখন প্রচারণা করার জন্য কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গা প্রয়োজন। ঠিক তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য তেমন কিছু প্লাটফর্ম প্রয়োজন। প্লাটফর্মগুলো হলো সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক। যেমন- ফেইসবুক, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব ইত্যাদি। এগুলোর মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারি।
Digital Marketing Course in Bangladesh
উপরের আলোচনায় আপনাদের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সচরাচর প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ারও চেষ্টা করেছি। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ হতে হলে কোর্স করা লাগে। তবে বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এর জন্য খুব কমই বিশ্বাসযোগ্য প্লাটফর্ম আছে। তাই কোর্স বিষয়ে লিখতে গিয়ে আমাকে কিছুটা ভোগান্তিই পোহাতে হয়েছে। এই পর্যায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা কিছু কোর্স নিয়ে আলোচনা করবো। অনেক যাচাই করার পর এই কয়েকটা কোর্স সম্পর্কে লিখতে পারলাম।
Digital Marketing Course in Bangla
Institute | Course Title | Link |
---|---|---|
Creative IT Institute | Digital Marketing | Course Details |
eShikhon | Complete Digital Marketing Live Course | Course Details |
Digital Marketing Course
এছাড়াও অনলাইন থেকে নিম্নোক্ত ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সগুলো করতে পারেন-
- গুগল ডিজিটাল গ্যারেজ
- SEMRUSH একাডেমী ফ্রী সার্টিফিকেশন
- গুগল এনালিটিক্স একাডেমিতে ফ্রী কোর্স
- বিং এডস সার্টিফিকেশন
- গুগল স্কিলসপ
- হাবস্পট অনলাইন মারকেটিং কোর্স সার্টিফিকেশন
- কপি ব্লগার অনলাইন মারকেটিং কোর্স ফ্রী
- Udacity ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স
- ক্লিকমাইন্ডেড ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স
আপনারা কোর্স করতে চাইলে উপরের বিশ্বাসযোগ্য কোর্সগুলো করতে পারেন। তবে আপনারা যেখানেই কোর্স করেন না কেন, প্রথমে সেই মেন্টরের প্যাসিভ আয় দেখবেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এ একজন সফল ফ্রিল্যান্সারই পারবেন আপনাকে সফলতার দিকে এগিয়ে দিতে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা কি সত্যিই সম্ভব?
একটা সময় ছিলো যখন আমার কাছে অনলাইনে ইনকাম করাটাকে হাস্যকর মনে হতো। তারপর অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করার পর আমি সত্যিই বুঝতে পারলাম অনলাইন থেকেও ইনকাম করা যায়। যাইহোক, মূল আলোচনায় যাই। এখন কথা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং করে কেমন আয় করা সম্ভব। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা, সৃজনশীলতা, ধৈর্য এগুলোর উপর। ডিজিটাল মার্কেটিং করতে গেলে প্রথমেই আপনাকে স্কিল অর্জন করতে হবে। তারপর আসি সৃজনশীলতায়— আপনি যদি সৃজনশীল (creative) না হন, তাহলে এই প্লাটফর্মে ভালো কিছু করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | Freelancing করে আয় করুন
এখন হলো ধৈর্যের প্রশ্ন। ফ্রিল্যান্সিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ব্যবসার মতো, যেখানে আপনি বিক্রেতা। তাহলে আপনার ব্যবসায় কিন্তু প্রথমেই চমকপ্রদ কিছু ঘটে না। ধৈর্য ধরতে হয়, আস্তে আস্তে আপনি ব্যবসায় পারদর্শী হওয়ার সাথে সাথে ইনকামও বাড়ে। ডিজিটাল মার্কেটিংও ঠিক তেমনি স্কিল বাড়ার সাথে সাথে ইনকামও বাড়ে। এখন কথা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং করে কেমন আয় করা যায়? সাধারণত একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে গড়ে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ বা তারও বেশি ইনকাম করতে পারে। ওই যে বললাম স্কিল লাগে। আপনি যদি দক্ষ হন, তাহলে আপনি একটা মানসম্মত ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার সেরা ট্রেইনিং সেন্টার
ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ট্রেইনিং সেন্টার আছে। এসব ট্রেইনিং সেন্টারকে বলা হয় আইটি সেন্টার। আপনারা চাইলে এসব ট্রেইনিং সেন্টারে যোগাযোগ করে আপনাদের সুবিধা মতো অনলাইন বা অফলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন। তবে আপনাদের সুবিধার জন্য সফলতার গ্যারান্টি দিতে পারবে এমন কয়েকটি আইটির কথা উল্লেখ করবো।
- ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট
- ওয়েবকোডার আইটি
- অর্ডিনারী আইটি
- এসআর ড্রিম আইটি
কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল ক্যারিয়ার গড়া যায়
এতক্ষণ আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন আলোচনা করবো কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি সফল হবেন। প্রথমেই আপনাকে একজন দক্ষ পথপ্রদর্শক নির্ধারণ করতে হবে এবং তার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞানার্জন করতে হবে। হতাশ না হয়ে স্কিল অর্জনে মনোনিবেশ করতে হবে। একটা কথা মনে রাখবেন, স্কিল থাকলে সফলতা আসবেই।
শেষ কথা
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে আছে। তো আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা সত্যিই ভাগ্যবান। কারণ যত দিন যাবে তত ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়বে। আর দিন যাওয়ার সাথে সাথে আপনার দক্ষতাও বাড়বে। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন।
আপনার ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার স্বপ্ন সফল হোক।
ধন্যবাদ পোস্টটি করার জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক লেখাটি পড়ে মন্তব্য জানানোর জন্য।
আসলেই কি ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ ভালো?
আগামী কয়েক বছর যে স্কিলগুলোর চাহিদা সর্বোচ্চে থাকবে তার মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম।
Digital Marketing-এ আপনার আগ্রহ থাকলে নির্দ্বিধায় শুরু করে দিতে পারেন।
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কাজ করতে চাই। জানতে চাচ্ছি, কত টাকার ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করতে পারব?
আসলে এক বাক্যে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। কত টাকার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কিনবেন সেটা আপনার ইচ্ছাধীন।
তবে চেষ্টা করবেন অন্তত 4GB RAM (৮ জিবি হলে ভালো হয়), Core I-5 প্রোফেসর, 1TB হার্ডডিস্কের সাথে 128GB-265GB SSD, সর্বনিম্ন 8th Generation ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত করতে। সামর্থ্য থাকলে আরও ভালো বিল্ডের কম্পিউটার কিনতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
স্টাডিকরোকে ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।