পড়া মনে রাখার উপায়: ‘আমি অনেক পড়ি কিন্তু কিছুতেই পড়া মনে থাকেনা।’ এই কথা শিক্ষার্থীদের মুখে হরহামেশাই শোনা যায়। পড়া মনে থাকে না কিংবা ভুলে যাওয়ার মত সমস্যা প্রায় সব শিক্ষার্থীর আছে। তবে কারও কম আর কারও কারও একটু বেশি। কিন্তু আমরা যদি পড়া মনে রাখার বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বন করি তাহলেই আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। আজ আমরা পড়া মনে রাখার উপায়গুলো নিয়েই আলোচনা করব ও পড়া মনে রাখার দোয়া জানব।
Table of Contents
- পড়া মনে রাখার উপায়
- ১. পর্যাপ্ত ঘুমানো
- ২. পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করুন
- ৩. হাইলাইটার পেন ব্যবহার করুন
- ৪. পড়া অন্যকে শেখানো
- ৫. উচ্চস্বরে পড়ুন
- ৬. কনসেপ্ট ট্রি তৈরি করুন
- ৭. লিখে পড়ার অভ্যাস করুন
- ৮. মুখস্থ করবেন না
- ৯. রিভাইজ করুন
- ১০. ভিজুয়ালাইজেশন
- ১১. কিওয়ার্ড তৈরি করে নিন
- ১২. উদাহরণ তৈরি করে নিন
- ১৩. বিরতি নিয়ে পড়ুন
- পড়া মনে রাখার দোয়া
- প্রশ্নোত্তর
- উপসংহার
পড়া মনে রাখার উপায়
নিচে উল্লেখিত প্রতিটা পরামর্শ মেনে চলতে পারলে আপনি খুব সহজেই পড়া মনে রাখতে পারবেন। তাই পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল জানতে দেরি কীসের!
১. পর্যাপ্ত ঘুমানো
ব্রেইনকে রিলাক্স রাখতে পারলেই আপনি পড়া মনে রাখতে পারবেন আর এর জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। একজন সুস্থ ব্যক্তির সাধারণত দিনে ৭-৯ ঘন্টার মতো ঘুমানো উচিত। এর থেকে কম ঘুমালে আপনার পড়া মনে রাখার ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘুমের অভাব সহজেই একাগ্রতা ব্যাহত করতে পারে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এর প্রভাব আপনার মেজাজ ও কাজের ওপর দেখা যায়। অনেক সময় ঘুমের অভাবে আমাদের সারাদিন খারাপ যায়। আমাদের মন ভারাক্রান্ত মনে হয় এবং কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে পারি না। তাই ঘুমানোর সময় ঠিক করে নিন, এর ফলে অলসতা ও ক্লান্তির মতো সমস্যা আপনার হবেনা এবং আপনার মনকে একাগ্র করতে পারবেন এবং পড়া মনে থাকবে ভালো। পড়া মনে রাখার উপায়গুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আরও দেখুন: পড়াশোনায় মনোযোগ আনার উপায়
২. পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করুন
সঠিক সময় নির্বাচন করা পড়া মনে রাখার উপায়গুলোর অন্যতম। পড়া মনে রাখতে হলে অবশ্যই আপনাকে পড়ার সঠিক সময় নির্বাচন করতে হবে—তবেই পড়া ভালো মনে থাকবে। যে সময়ের কাজ সেই সময়ে করতে হবে নতুবা কোনো কাজে মন বসবে না। অনেকেই বলে থাকে রাত নিরিবিলি থাকে তখন পড়লে পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কিন্তু এ দাবিটি সত্য নয়। দিনে, সন্ধ্যায় এবং সন্ধ্যার পর পড়লে এবং সকালে ফজরের নামাজ পড়ে পড়তে বসলে তাতেই অনেক পড়া যায়। এসময় মন মস্তিষ্ক সতেজ থাকে। আপনি যদি রাত জেগে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনার পুরো দিনটাই আলসেমিতে এবং দিনটাই ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে যাবে। এজন্য অবশ্যই রাত জেগে পড়াশোনা করার বদ অভ্যাস থাকলে বদলে ফেলুন।
৩. হাইলাইটার পেন ব্যবহার করুন
কেউ কেউ ঝকঝকে বই ভালোবাসেন আবার অনেকেই লাল নীল রঙ্গে বই ফুটিয়ে তোলেন। তবে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই মার্ক করে বা দাগিয়ে পড়তে ভালোবাসেন। এটাও পড়া মনে রাখতে বেশ কার্যকর। গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু চিহ্নিত করার ফলে কোনো শব্দ বা বাক্যের প্রতি আকর্ষণ ও আগ্রহ বেড়ে যায়। সেই সাথে ওই অংশটুকুর উপর ব্রেইনের ভিজ্যুয়ালিটি ইফেক্টও বেড়ে যায়, যা পড়াকে মনে রাখতে অনেক সাহায্য করে।
৪. পড়া অন্যকে শেখানো
পড়া মনে রাখার এই উপায়টি অত্যন্ত কার্যকরী। অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে নিজে যা পড়েছেন বা জেনেছেন তা মানুষের মস্তিষ্কে আরও ভালোভাবে গেঁথে যায়। পাশাপাশি অন্যকে শেখানোর ফলে নিজের দক্ষতা প্রকাশ পায় এবং পড়াটি আরও ভালোভাবে আয়ত্ত হয়েছে কিনা সেটাও বুঝা যায়।
আরও দেখুন: বাচ্চাদের পড়ালেখায় মনোযোগী করার উপায়
৫. উচ্চস্বরে পড়ুন
উচ্চস্বরে পড়া, পড়া মনে রাখার সহজ উপায়ের মধ্যে একটি। তাই উচ্চস্বরে পড়ার চেষ্টা করুন। উচ্চস্বরে পড়লে কথাগুলো কানে পুনশ্চ শোনা যায়। ফলে সহজে পড়া আয়ত্ত করা যায়। শব্দহীনভাবে পড়লে একসময় পড়ার গতি কমে যায়। সেই সাথে শেখার আগ্রহও হারিয়ে যায়। আর আগ্রহ না থাকলে পড়াটা মস্তিষ্ক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় শেখার কিছুক্ষণ পরই। শেখা শেষ হলে বারবার সেটার পুনরাবৃত্তি করুন। পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে এটাও অনেক সাহায্য করে। পড়া মুখস্থ করার জন্য এই পদ্ধতি অনেকে পালন করে।
৬. কনসেপ্ট ট্রি তৈরি করুন
পড়া মনে রাখার অন্যতম একটি কৌশল হলো কনসেপ্ট ট্রি। এ পদ্ধতিতে কোনো একটি বিষয় শেখার আগে পুরো অধ্যায়টিকে কয়েকটি অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশের জন্য একটি লাইন করে সারমর্ম লিখতে হবে। তারপর খাতায় একটি গাছ এঁকে প্রতিটি সারমর্মকে গাছের এক একটি পাতায় লিখে রাখতে হবে। তারপর পাতাগুলোতে প্রতিদিন চোখ বুলালেই অধ্যায়টি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে। এটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায় পড়া মনে রাখার।
৭. লিখে পড়ার অভ্যাস করুন
এটি অত্যন্ত কার্যকরী পড়া মনে রাখার উপায়। লিখে পড়লে আমাদের ব্রেনের অনেক বেশি এলাকা উদ্দীপ্ত হয়। লেখার সাথে ব্রেনের যে অংশগুলো জড়িত তা তথ্যকে স্থায়ী মেমোরিতে রূপান্তর করতে সহায়তা করে। এছাড়া মানুষ কোনো কিছু লিখতে চাইলে উক্ত বিষয়ের প্রতি মনোযোগ বেড়ে যায় যা স্থায়ী মেমোরি তৈরিতে সাহায্য করে। এতে করে পড়া ভালো মনে থাকে।
৮. মুখস্থ করবেন না
মুখস্থবিদ্যা সৃজনশীলতার বিকাশের অন্তরায়। মুখস্থবিদ্যা চিন্তাশক্তিকে অকেজো করে দেয়। পড়াশোনার আনন্দও মাটি করে দেয়। কোনো কিছু না বুঝে মুখস্থ করলে সেটা বেশিদিন স্মৃতিতে ধরে রাখা যায় না। কিন্তু তার মানে এই নয় সচেতনভাবে কোনো কিছু মুখস্থ করা যাবে না। টুকরো তথ্য যেমন: সাল, তারিখ, বইয়ের নাম, ব্যক্তির নাম, বিজ্ঞানের কোনো সূত্র ইত্যাদি বুঝে মুখস্থ করতে হবে। মুখস্ত করা শব্দটি ইংরেজি প্রতিশব্দ Memorize. মুখস্থ বলতে আমরা বুঝি কোনো কিছুকে না বুঝেই বার বার পড়ার মাধ্যমে স্মৃতিতে ধরে রাখা বা স্মৃতিতে ধারণ করার চেষ্টা।
আমরা যে মস্তিস্কের (Brain) দ্বারা পড়া মুখস্থ করি তার স্বাভাবিক প্রবণতা হলো চিন্তা করা। মুখস্থ করার মানে এই স্বাভাবিক প্রবণতার বিরুদ্ধে যাওয়া। মুখস্থ বিদ্যার ক্ষতির দিক হলো এটা আমাদের চিন্তাশক্তিকে ভোঁতা করে দেয়।
মুখস্থ বিদ্যার মাধ্যমে ভালো ফল করলেও এটা ক্ষতিকরই বটে। কারণ, এটা চিন্তাশক্তিকে অকেজো করে দিয়ে উচ্চতর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাকে কঠিনতর করে দেয়। এসব শিক্ষার্থী যত ওপরের ক্লাসে উঠবে, তার কাছে পাঠ তত জটিল আর কঠিন মনে হবে। যাদের চিন্তাশক্তি সতেজ, এখানে তারাই ভালো করবে।
পড়াশোনার মাঝে যে আনন্দ আছে তা শিক্ষার্থীরা লাভ করতে পারেনা। আবার কোনো কিছু না বুঝে মুখস্থ করলে সেটা স্মৃতিতে বেশিদিন ধরে রাখাও সম্ভব নয়। এ অবস্থায় চিন্তাশক্তি বা বুঝশক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
কাজেই আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, মেধার বিকাশ মূলত কোনো কিছু বোঝা, তা নতুন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা, কিংবা অর্জিত জ্ঞানের সাহায্যে কোনো কিছু বিশ্লেষণ করা ।
৯. রিভাইজ করুন
গবেষণায় দেখা গেছে আমরা আজকে সারাদিন যত কিছু পড়ি, শুনি, জানি বা দেখি তা পাঁচ দিন পর চার ভাগের তিন ভাগই ভুলে যাই। এ ভুলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য কিছু টিপস আছে যেমন: ৪৫ মিনিট পর ১৫ মিনিট ব্রেক এবং সেই ব্রেকে মনে মনে সে পড়াটা রিভাইজ দেওয়া এবং কোথাও আটকে গেলে তা আবার দেখে নেওয়া। আজকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পড়ে আগামীকাল ঘুমানোর আগে উক্ত পড়া রিভাইজ দেওয়া। তারপর এক সপ্তাহ পর পুনরায় রিভাইজ দিলে দীর্ঘদিন পড়া মনে থাকবে। পড়া মনে রাখার উপায়টির মধ্যে এটিও বেশ কার্যকর।
১০. ভিজুয়ালাইজেশন
পড়া মনে রাখার উপায়গুলোর মধ্যে আরও একটি অন্যতম উপায় হলো ভিজুয়ালাইজেশন। আমরা যখন কোনো নাটক বা সিনেমা দেখি তখন সেই নাটক বা সিনেমাটা সহজেই মনে রাখতে পারি। তার কারণ, ভিজুয়ালাইজেশন। আপনি যে টপিকটি পড়ছেন—তা যদি ভিজুয়ালাইজড করা যায় অর্থাৎ, ভিডিও, ছবি, গ্রাফ বা চার্ট আকারে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে পড়া মনে রাখাটা আরও বেশি সহজ হবে। কারণ ভিজুয়ালাইজেশনে আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো বেশি সজাগ থাকে।
১১. কিওয়ার্ড তৈরি করে নিন
আপনি কঠিন কোনো বিষয়কে কিওয়ার্ডে রুপান্তরিত করে সহজেই মনে রাখতে পারবেন। যেকোনো বিষয়ের কঠিন অংশগুলো ছন্দের আকারে খুব সহজে মনে রাখা যায়। যেমন: রংধনুর সাত রং মনে রাখার সহজ কৌশল হলো ‘বেনীআসহকলা’ শব্দটি মনে রাখা। সাতটি রংয়ের প্রথম আদ্যাক্ষর রয়েছে শব্দটিতে। ইংরেজি Lieutenant শব্দটির বানান মনে রাখা অনেক কঠিন। এমন অবস্থায় পড়া মনে রাখার এই উপায়টি কার্যকর। সেক্ষেত্রে “মিথ্যা তুমি দশটি পিঁপড়া” মনে রাখলেই বানানটি মনে হয়ে যাবে। কোনো কিছু মনে রাখতে হলে তা বিভিন্ন অংশ বা সেগমেন্টে ভাগ করে পড়া বেশ উপকারী। যেমন: ১২৪১৪০১৭ এ সংখ্যাটি মনে রাখা যতটা সহজ তার চাইতে ১২৮১ এবং ৪০১৭ মনে রাখা আরও বেশি সহজ। আমাদের ব্রেন অনেক বড় বিষয়ের চেয়ে ছোটো বিষয় বেশি মনে রাখতে পারে।
১২. উদাহরণ তৈরি করে নিন
আপনি যে টপিকটি পড়ছেন- তার সঙ্গে মিল রেখে বাস্তব কিছু ঘটনা বা উদাহরণ যদি খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে পড়া বা তথ্য মনে রাখাটা আরও বেশি সহজ হবে।
১৩. বিরতি নিয়ে পড়ুন
পড়ার সময় ছোটো ছোটো (প্রতিবার ২০-৩০ মিনিট পড়ার পর পাঁচ-সাত মিনিট) বিরতি দিয়ে পড়লে বেশিক্ষণ পড়া যায়। তাতে পড়ার প্রতি একঘেয়েমি ভাব দূর হয় এবং মস্তিষ্কে চাপ কম পড়ে। কারণ একটানা পড়লে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষণ পড়ার পর মস্তিষ্ক আর চাপ নিতে পারে না। ফলে পড়ার প্রতি আর আগ্রহ থাকে না। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
পড়া মনে রাখার দোয়া
পড়া মনে রাখার দোয়া রয়েছে। আপনাদের জন্য পড়া মনে রাখার দোয়া
উল্লেখ করছি। জ্ঞান বৃদ্ধির অনেক দোয়া ও আমল কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এসব আমল করলে ও দোয়া পড়লে—আল্লাহ তাআলা জ্ঞান বৃদ্ধি করে দেন। কল্যাণকর জ্ঞান ও ইলম দান করেন।
১. পড়া মনে রাখার দোয়া
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻻَ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻋَﻠَّﻤْﺘَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ
উচ্চারণ: সুবহানাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা, ইন্নাকা আনতাল আলিমুল হাকিম।
অর্থ: (হে আল্লাহ) আপনি পবিত্র! আমরা কোনো কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদিগকে যা শিখিয়েছেন (সেগুলো ব্যতীত), নিশ্চয় আপনিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা। (সূরা বাকারা: ৩২)
২. পড়া মনে রাখার দোয়া
رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا
উচ্চারণ: রব্বি যিদনি ইলমা
অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সুরা ত্বাহা: ১১৪)
পড়া মনে রাখার দোয়া পাঠ করার পাশাপাশি সর্বপ্রকার গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা পাপ কাজ আমাদের স্মৃতিশক্তিকে দুর্বল করে দেয়। এছাড়াও পরিমিত খাওয়া ও ঘুম এবং পরিশ্রম করা জরুরি।
প্রশ্নোত্তর
আজকের আলোচ্য বিষয় “পড়া মনে রাখার উপায়” এর উপর সম্পূরক কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো:
কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে?
কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে—এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই। ব্যক্তিভেদে পড়া মনে রাখার কার্যকরী সময়ের পার্থক্য দেখা যায়। কারও ক্ষেত্রে সকালে পড়া বেশ ইফেক্টিভ, আবার কারও ক্ষেত্রে রাতে বা দিনের অন্য সময়। তবে সকলের ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে ব্রেন বেশ সতেজ থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রাতে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া এবং ভোরে ঘুম থেকে উঠার মতো ভালো একটা অভ্যাস অনেকেরই নেই।
যাহোক, নিজে নিজে পরীক্ষা করে দেখুন আপনার জন্য কোন সময়টা বেশি কার্যকরী। উপযুক্ত সময় জানার পর নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত পড়তে থাকুন।
জোরে পড়া ভালো না মনে মনে?
স্বশব্দে বা জোরে পড়লে পড়া মুখস্থ হয় বেশি। আর মনে মনে পড়লে কম সময়ে বেশি শব্দ পড়া যায়। এটাই সাধারণ নিয়ম। তবে ব্যক্তির অভ্যাস বা চর্চার ফলে এই নিয়মের ব্যতিক্রমও হতে পারে।
উপসংহার
উপরে অনেকগুলো পড়া মনে রাখার উপায় আলোচনা করা হয়েছে। আশাকরি, আলোচ্য উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি পড়া মনে রাখতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। আর পড়া মনে রাখার দোয়াটিও আমল করতে ভুলবেন না যেন।
পড়া মনে রাখার উপায়গুলোর মধ্যে কোনটি আপনার ভালো লেগেছে জানাবেন।