গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? যেভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design) শিখবেন

গ্রাফিক্স ডিজাইন
সারাংশ: গ্রাফিক্স ডিজাইন কি, কেন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন, Graphics Design কীভাবে শিখবেন, গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স, গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কতদিন লাগে, গ্রাফিক্স ডিজাইনে কী কী কাজ শিখতে হয় এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের যাবতীয় বিষয় জানতে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন।

সূচিপত্র

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে আছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে প্রয়োজন বিভিন্ন পোস্টার, লিফলেট, চিত্র ইত্যাদি। এসবই গ্রাফিক্স ডিজাইনের অংশ। এখন আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার জন্য একটি লাভজনক কাজ হতে চলছে। 

যাহোক, আপনি নিশ্চয়ই গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ থেকেই এই আর্টিকেলটা পড়তে এসেছেন। আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে। আজকে আমরা আলোচনা করবো গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? আপনি কেনো গ্রাফিক্স ডিজাইন করবেন? কীভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করবেন? গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার কি কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন কীভাবে শিখবেন ও কী কী লাগবে এসব।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

‘গ্রাফিক্স ডিজাইন’ শব্দদয় জার্মান ভাষা থেকে এসেছে। মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো কোনো আর্ট বা চিত্র। কোনো বিশেষ তথ্যকে রং, সেইপের মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করাই হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে অন্য ক্ষেত্র গুলোতেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা কম না। গার্মেন্টস ফেক্টরিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা বেশি। তাছাড়া যেকোনো কোম্পানির ব্যানার, টেমপ্লেট ইত্যাদি তৈরিও গ্রাফিক্স ডিজাইনের অংশ।

কেন গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design) শিখবেন

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে— আপনি কেন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন? গ্রাফিক্স ডিজাইনের সুবিধাগুলো ব্যাপক। ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব নিশ্চয়ই কারোর অজানা নয়। সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সাহায্য নিতেই হবে। তাছাড়া আপনি যখন বিভিন্ন কোম্পানিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করবেন তখন এই বিষয়ে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।

এখন আসি দৈনন্দিন জীবনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজনীয়তায়। আপনি সকালে উঠে টুথপেষ্ট ব্যবহার করেন, চা বা কফি খান তার প্যাকেটের উপর যে ডিজাইন করা থাকে তা এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের অংশ। আমরা যে বই পড়ি তার উপরের প্রচ্ছদ ও বইয়ের ভেতরের প্রতিটি পৃষ্ঠার চিত্র সবই গ্রাফিক্স ডিজাইনের অংশ। 

বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন নতুন নতুন কোম্পানি হওয়ার কারণে কোম্পানির ডিজাইনের জন্য দরকার গ্রাফিক্স ডিজাইনার। এই ক্ষেত্রে আপনি দেশীয় কোম্পানিতেও কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া fiverr.com, upwork.com, freelancer.com এগুলোতেও গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসাবে কেন গ্রাফিক্স ডিজাইন বেছে নিবেন

আপনি কেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন বেছে নিবেন এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা কতটুকু। কারণ যখন এই ব্যাপারে পরিষ্কার হবেন যে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক তখন আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারবেন আপনি কেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন বেছে নিবেন।  

যাহোক, মূল আলোচনায় ফিরা যাক। আগেই বলেছি বর্তমানে সবকিছু আধুনিক হওয়ার সাথে সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং-কে আকর্ষণীয় করে চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিকল্প নেই। তাছাড়া প্রতিনিয়তই বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ডিজাইনের। যেমন ধরেন রাস্তার পাশে ব্যনার, কোনো কোম্পানির লোগো বা লিফলেট যাই বলেন না কেন সেখানেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজনীয়তা দেখা যাচ্ছে। তাই আপনারা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার কথা চিন্তা করেছেন তাদের জন্য এটি লাভজনক হতে চলেছে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার (Types of graphics design)

গ্রাফিক্স ডিজাইনের পরিধি বিস্তৃত হলেও কাজের ধরণ ও চাহিদার ভিত্তিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা:

  1. প্রকৌশলী ডিজাইন 
  2. কম্পিউটার ডিজাইন

১. প্রকৌশলী ডিজাইন: প্রকৌশলী ডিজাইন অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। মূলত প্রকৌশলী ডিজাইন হলো নিজের হাতে দেয়ালে বা খাতায় রং বা কালি দিয়ে যে চিত্র আঁকা হয়। এখনো প্রকৌশলী ডিজাইন প্রচলিত আছে। 

২. কম্পিউটার ডিজাইন: আধুনিক যুগ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ডিজাইন করার পদ্ধতিতেও এসেছে ভিন্নতা। আগে যে ডিজাইনকে প্রকৌশলী ডিজাইন বলা হত সে ডিজাইন এখন কম্পিউটার গ্রাফিক্স দ্বারা তৈরি করা হয়। আর এই কম্পিউটার গ্রাফিক্স দ্বারা তৈরিকৃত ডিজাইন হলো কম্পিউটার ডিজাইন।

এগুলো ছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনকে আরও ৭ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

  1. লোগো ডিজাইন
  2. প্রোডাক্ট বা পণ্যের ডিজাইন
  3. ব্যান্ডিং ডিজাইন
  4. পাবলিশিং ডিজাইন
  5. প্রিন্ট ডিজাইন
  6. ওয়েবসাইট ডিজাইন
  7. অ্যানিমেশন বা মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন 

লোগো ডিজাইন: একটি লোগো একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বহন করে। আর এই লোগো তৈরির প্রক্রিয়াকেই বলে লোগো ডিজাইন। 

প্রোডাক্ট ডিজাইন: কোনো একটা প্রডাক্ট বাজারজাত করার আগে তাকে ডিজাইনের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার পদ্ধতিটি হলো প্রোডাক্ট ডিজাইন।

ব্রান্ডিং ডিজাইন: কোনো প্রডাক্ট ক্রেতার কাছে পরিচিত হয় তার ব্যান্ডের কারণে। আর এই ব্যান্ডকে প্রমোটিং এর উদ্দেশ্যে ডিজাইন করাই হলো ব্যান্ডিং ডিজাইন।

পাবলিশিং ডিজাইন: ম্যাগাজিন বা বই পাবলিশ করার জন্য সেটাকে ডিজাইন করার মাধ্যমে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করার পদ্ধতি হলো পাবলিশিং ডিজাইন।

প্রিন্ট ডিজাইন: কোম্পানি বা সংস্থা থেকে উপহার পেতে কার না ভালো লাগে! তবে সেই উপহারে যদি সংস্থার নাম প্রিন্ট করা থাকে তখন কেমন হবে? আসলে মগ, টিশার্ট ইত্যাদিতে কোম্পানি বা সংস্থার নাম ডিজাইন করাকে প্রিন্ট ডিজাইন বলে।

ওয়েবসাইট ডিজাইন: অনলাইন মার্কেটিং, প্রমোটিং বা যেকোনো ব্যবসায়িক স্বার্থে এখন ওয়েবসাইটের চাহিদা বেড়েই চলেছে। সেই ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় করার জন্য ডিজাইন করাকে বলা হয় ওয়েবসাইট ডিজাইন। 

অ্যানিমেশন বা মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন: অ্যানিমেশন আসলে কার্টুনকে বোঝায়। গ্রাফিক্স ব্যবহার করে অ্যানিমেশন তৈরি করার দক্ষতাকে অ্যানিমেশন গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে। তবে এক্ষেত্রে অ্যানিমেশন ডিজাইনারের চিত্র বা রাপ স্কেচিং এর বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক।

গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design) শিখতে কি কি লাগে

গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হলে কয়েকটা বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। প্রথমেই কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করা শিখতে হবে। যেমন- Adobe Photoshop, Adobe Illustrator, Coreldraw ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।

এখন আসি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার জন্য কেমন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রয়োজন। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কিনার আগে আপনি ঠিক করুন যে আপনি কোন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক ক্ষেত্র আছে তা তো আগেই জানতে পারলেন।

তবে সব বিষয় নিয়ে তো আর প্রথমে শুরু করতে পারবেন না। তার জন্য নির্দিষ্ট কাজের জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ নিতে হবে। আমি সবমিলিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য Apple Macbook, iMac এগুলো ব্যবহার করার পরামর্শ দিব। তবে আপনি ভালো কনফিগারেশনের Windows কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। সব মিলিয়ে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে কম্পিউটার নিলেই অনায়াসে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স  (Graphics Design Course in Bangladesh)

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে প্রয়োজন একজন দক্ষ পথপ্রদর্শক। আর সেটা আমরা কোর্স করার মাধ্যমে পেতে পারি। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আপনাদের কোর্স করতে হবে। তাই আমি আজকে কিছু কোর্স এর কথা উল্লেখ করব। আপনারা সেখান থেকে যেকোনো একটা কোর্স করে সফলতা অর্জন করতে পারেন।

  1. Creative IT Institute
  2. Udemy
  3. SkillShare 
  4. eShikhon
  5. Shaw Academy: Adobe certified online graphics design course  

গ্রাফিক্স ডিজাইন জব (Graphics Design Job)

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি স্মার্ট পেশা। গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে আপনার যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক বা ফ্রিল্যান্সার এর মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সেবা ক্রেতা খুঁজতে হয়। তেমনি আপনি যদি দক্ষ হন বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি আছে যারা আপনাকে একটি স্থায়ী জবের সুযোগ দিতে পারে। এখানে আপনি ভালো একটি বেতনে চাকরি করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব

গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব

গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নেগুলোর উত্তর পাওয়ার পর আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগবে— কীভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখাতে হলে প্রথমে লাগবে মনের জোর। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার জন্য আপনি গুগল বা ইউটিউবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের টিউটোরিয়াল লিখে সার্চ করে ভিডিও দেখে শিখতে পারেন। ধারাবাহিকভাবে ইউটিউবে বা Udemy, Creative IT Institute এর মতো প্লাটফর্মে ভিডিও দেখে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন।

তাছাড়া এখন সরকারি বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন ইনস্টিটিউটে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থেকে। এসব ইনস্টিটিউটের কোর্সে ভর্তি হয়ে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি কাজ শিখতে হয়

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় শিখতে হবে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কম্পিউটার জানা থাকতে হবে। যেহেতু গ্রাফিক্স ডিজাইনের সব কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে করতে হয় তাই এটা অত্যন্ত জরুরি। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য আপনাকে কিছু আঁকাআকি জানতে হবে। কারণ আগেই বলেছি যে গ্রাফিক্স ডিজাইন মানে চিত্র বা আঁকাআকি যা কিনা করা হয় কম্পিউটারের সাহায্যে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য প্রয়োজন কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে জ্ঞান। যেমন-  Photoshop বা Illustrator। এগুলোর কাজ জানা না থাকলে মনের চিত্রকে গ্রাফিক্সে রূপ দেওয়া যাবে না।

পরে বুঝতে হবে colour সম্পর্কে। যে কোথায় কোন colour ব্যবহার করলে চিত্রটা ফুটে উঠবে। আরও জানতে হবে লেখার ফ্রন্ট সম্পর্কে। যে কোথায় কোন লেখার জন্য কোন ফ্রন্ট ব্যবহার করতে হবে।

সবশেষে আপনাকে লে আউটের ব্যবহার শিখতে হবে।

মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design by Mobile) 

যুগ পাল্টেছে, সবকিছুতে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। একটা সময় মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম ছিলো স্বপ্ন মাত্র। কিন্তু এখনকার সময়ে মোবাইল দিয়েও করা যায় গ্রাফিক্স ডিজাইন। তবে হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রাথমিক কাজগুলো করা গেলেও এডভান্স লেভেলের কাজ করার জন্য আপনার কম্পিউটার লাগবে। তবে যেহেতু আপনি প্রথমে মোবাইল দিয়ে শুরু করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি প্রাথমিক কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে কাজ করার জন্য আপনি pixellab অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো একটি অ্যাপ হলো Canva। এখানে আপনি মোবাইল দিয়ে ছোট ছোট কাজগুলো করে নিতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন বই – Graphics Design Book

গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য আপনি কিছু বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন। আমি এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কিছু বই লিংকসহ উল্লেখ করবো।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে?

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। এটা নির্ভর করবে আপনার প্রচেষ্টা আর মেধার উপর। ইউটিউব বা অন্য প্লাটফর্মে ভিডিও দেখে শিখলে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি মনোযোগ দিয়ে সেখানে কতটুকু সময় দিচ্ছেন তার উপর। তবে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ৩-৬ মাস ব্যাপী এই কোর্সগুলো শেখায়; আপনি আপনার সুবিধামত একটা নির্দিষ্ট সময়ের কোর্স করে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হতে আপনার একটু বেশি সময় লাগবে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কত টাকা আয় করা যায়

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম করার আগে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। যখন আপনি দক্ষ হবেন ইনকাম এমনিতেই হবে। তবে আমি কিছুটা ধারণা দিতে পারি। গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে ইনকাম সাফল্য পেশা। গ্রাফিক্স ডিজাইনে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার থেকে উপার্জন শুরু হয়ে লাখের অধিক যায়। তবে ফাইবার আপওয়ার্কে যারা কাজ করে তারা মাসে প্রায় ৪০০ ডলার এর উপরেও উপার্জন করে। সম্পূর্ণটা নির্ভর করে দক্ষতার উপর।

গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার
গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার

গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার 

সফলভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হলে সঠিক সফটওয়্যার নির্বাচন করা জরুরি। তাই এই পর্যায়ে আমি কিছু সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলবো। 

আগেই বলেছি গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য সবচেয়ে ভালো হলো Photoshop এবং Illustrator। এই সফটওয়্যারগুলো দিয়ে মোটামোটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের সব কাজই করা যায়। আরো কিছু সফটওয়্যারও আছে। যেমন- Adobe InDesign, CorelDraw, Inkscape ইত্যাদি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট 

আমি এই ব্যাপারেও আপনাদের আগেই বলেছি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কোনো ওয়েবসাইটের সাহায্য নিন। যেমন- গুগল, ইউটিউবে সার্চ করে আপনি এই বিষয়ে টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন। এমন কিছু ওয়েবসাইট হলো- Laynda.com, গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল, গ্রাফিক্স ডিজাইন টিপস, দ্যা ফটোশপ রোড ম্যাপ, পিএসডি টুলস, tulsplus.com, লুন ডিজিটাল, ফটোশপ টিউটর ইত্যাদি। আপনি এসব ওয়েবসাইট থেকে টিউটোরিয়াল দেখে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। 

ঘরে বসে অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন যেভাবে

গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য আপনি ঘরে বসেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। তার জন্য উপরে আমি কয়েকটা স্টেপও উল্লেখ করেছি। যেমন- বিভিন্ন ওয়েবসাইটে টিউটোরিয়াল দেখে, ইউটিউবে ভিডিও দেখে। আর বলেছি কোর্সের কথা। গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু একটা অনলাইন ভিত্তিক পেশা, তাই কোর্সগুলোকেও এখন অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়। তাই ঘরে বসে অনায়াসেই আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন। 

শেষ কথা

গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর শীর্ষস্থানীয় পেশা। তাই উপরের লিখাগুলো অনুযায়ী আপনি নিজেকে দক্ষ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু করে দিন। 

Illustration Credit: Designed by Freepik

Share
Tweet
Share
Pin
Share
Share
Tweet
Pin
Share
Subscribe
Notify of
guest
4 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
শরিফুল ইসলাম

বই পড়ে কি গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা যায়?

StudyKoro

বই পড়ে মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন নিয়মনীতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সবচেয়ে ভালো হয় সরাসরি কোনো প্রশিক্ষকের কাছ থেকে শেখা অথবা ভিডিও দেখে শেখা।

Humayra Akter

গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

StudyKoro

মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

ঘরে বসে এর IELTS প্রস্তুতি
Tanny Rani Das

IELTS প্রস্তুতি সম্পর্কে আদ্যোপান্ত জানুন | ঘরে বসে IELTS এর প্রস্তুতি

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন যখন আপনাকে হাতছানি দেয়, তখন আপনার জীবনের সাথে জড়িয়ে যাবে IELTS (আইইএলটিএস) নামক শব্দটি। বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য যারা

এই নিবন্ধে কোনো তথ্যসূত্র সংযোজন করা হয়নি।
লেখাটি কি আপনার উপকারে এসেছে?
social media
অন্যদের সাথে শেয়ার করুন
Post
Tweet
Pin
Email
Happy
আপনি উপকৃত হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি।

নিবন্ধটি থেকে আপনি কেমন উপকৃত হয়েছেন তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না যেন।

Sad
দুঃখিত কী সমস্যা?

পরবর্তী নিবন্ধটি আরও ভালো করতে আপনার সমস্যাটি অনুগ্রহ করে আমাদের জানান।

নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন

স্টাডিকরো’র গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে ই-মেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন।

আপনার প্রাইভেসি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ

Report about this product

Let us know if you notice any incorrect information about this product. Also, please let us know if the given PDF file is banned for sharing; we will remove it as soon as possible. 

User Profile Picture

YourName