প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ হল বাংলাদেশী লেখক আরিফ আজাদ রচিত একটি ইসলাম বিষয়ক ধারাবাহিক গ্রন্থ। এটি সাজিদ নামক চরিত্রের ভাষ্যে ইসলামী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সাজানো ছোটগল্পের সমাহার। এতে লেখক ইসলাম বিরোধী প্রশ্নগুলোকে ইসলামী তথ্য, যুক্তি, দর্শন, বিজ্ঞান এবং বাস্তবতার মাধ্যমে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন এবং সেখান থেকে প্রতিপক্ষের যুক্তি তর্কের দূর্বলতা প্রমাণের প্রয়াস রেখেছেন।
গল্পের মূল চরিত্রের নাম ‘সাজিদ’। বইটিতে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে আছেন লেখক নিজে। লেখক সাজিদের বন্ধু, রুমমেট। সাজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের ছাত্র। বইয়ের প্রথম গল্পে ‘সাজিদ’ কে একজন সংশয়বাদীরূপে দেখা যায়। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব নিয়ে ব্যাপক যুক্তি-তর্কের শেষ পর্যায়ে সাজিদকে তার স্রষ্টায় ও ইসলামে বিশ্বাস পুনঃরায় ফিরে পেতে দেখা যায়। এরপর বিশ্বাসী সাজিদ একের পর এক গল্পে বিভিন্ন কৌতুহলী মানুষের কাছে তার ইসলামী বিশ্বাসকে তুলে ধরে।
সে তার তথ্য ও যুক্তির মাধ্যমে ইসলাম ও স্রষ্টা নিয়ে সংশয়ে থাকা ব্যক্তিদের সংশয় দূর করার প্রয়াস চালায়। সাজিদ কখনো নিজের শিক্ষক মফিজুর রহমানকে বুঝিয়ে আসে কেন ‘তাকদির’ তথা ‘ভাগ্য’ ইস্যুতে স্রষ্টা বিতর্কিত নন।
সাজিদ যুক্তির নিক্তিতে প্রমাণ দেখায় কেন স্রষ্টা মানুষের ভালো কাজের বেলায় প্রশংসা পেলেও মন্দ কাজের বেলায় দায়বদ্ধ নন। সাজিদের বড় ভাই তুল্য বিপ্লব দা’র কাছে সে প্রমাণ করে আসে কীভাবে বিজ্ঞানের আধুনিক পরিভাষা ‘কোয়ান্টাম’ মেকানিক্স কোনভাবেই স্রষ্টাকে খারিজ করে দিতে পারেনা। সে আরো প্রমাণ দেখায় যে কেন স্রষ্টা দয়ালু হবার পরেও জাহান্নামের মতো ভয়ানক জিনিস তৈরি করেছেন।
নীলু দা নামের আরেক চরিত্র, যিনিও বিপ্লব দা’র মতো সাজিদের কাছে বড় ভাইয়ের মতোই সমাদৃত, তার কাছে প্রমাণ দেখায় যে কোনভাবেই কোরআনের কোন আয়াত ‘সন্ত্রাসবাদী’ নয়। এভাবে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাজিদকে ইসলাম ধর্মের উত্তমতা, সঠিকতা ও প্রামাণ্যতা তুলে ধরার বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ বক্তা, যুক্তিবাদী এবং বাস্তববাদী হিসেবে দেখা যায়। [তথ্যসূত্র: Wikipedia]