আপনারা যারা পূর্বে ভোটার আইডি বা এনআইডি কার্ড করেছেন তারা হয়তো প্রতিনিয়ত ভোটার আইডি কার্ডের ভুলগুলো নিয়ে চিন্তিত তাই জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের নিয়ম বা NID কার্ড সংশোধন কীভাবে করবেন এই বিষয়ে গুগলে সার্চ করেন তাই আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে অনলাইনে স্মার্ট কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড চেক করে কিভাবে সেটির সংশোধন করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনারা যারা অনেক আগে ভোটার আইডি কার্ড করেছেন তখন হয়তো এতটা অনলাইন যুগ ছিল না বা ভোটার আইডি কার্ডের ভুলগুলো এত কঠোরভাবে দেখা হতো না। তাই কেউ ওইভাবে চিন্তা করেনি যে তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হবে। তবে এখন যেহেতু ডিজিটাল যুগ আর সব কিছুই ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে তাই বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয়পত্রের উপর খুবই নজরদারি করেছে।
আর এজন্যই হয়তো আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর ভুলগুলো সংশোধন করতে চান অনেকের নামে ভুল রয়েছে অনেকের ছবিতে সমস্যা রয়েছে আবার অনেকের বাবা-মায়ের নামে ভুল থাকে আবার অনেকের বয়সের ভুল থাকে যেমন জন্ম নিবন্ধনে একটি বয়স ভোটার আইডি কার্ডে অন্য একটি বয়স আর এই ভুলগুলো পুরনো আইডি কার্ডগুলোতে বেশিরভাগ দেখা যায়।
তবে নতুন আইডি কার্ডে এরকম ভুল দেখা যায় না এটাও কিন্তু ঠিক নয়। অনেক সময় নতুন আইডি কার্ডেও ভুল হয়তো দেখা যায় আর এজন্যই আপনি হয়তো আপনার এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে চাচ্ছেন বা আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ভুলগুলো ঠিক করতে চাচ্ছেন চলুন আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ভুল কিভাবে সংশোধন করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
NID কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে আপনার নিকটস্থ জেলা বা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য দুই কপি এনআইডি কার্ড সংশোধন ফরম নিতে হবে এবং সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে আপনি যে বিষয়টি পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন যেমন- ছবি অথবা যে কারো নাম সংশোধন করতে চাচ্ছেন সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট টাকা নির্ধারণ করা হবে এবং আপনি সেই টাকা বিকাশ, রকেট বা নগদ যেকোনো মাধ্যমে পেমেন্ট করে তার একটি রশিদ নিয়ে নিবেন।
এবার সংশোধন করার জন্য যে দুই কপি ফরম নিয়েছিলেন সেই ফরম পরিপূর্ণভাবে পূরণ করে এবার আপনি যে টাকা পেমেন্ট করেছেন সেই টাকার একটি রশিদ পাবেন সেই রশিদ ডাউনলোড করে আপনার সংশোধন ফর্মের সাথে পিন আপ করে সেটি উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে। এবার আরো কিছু স্টেপ ফলো করে আপনাকে সম্পূর্ণভাবে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। চলুন আমরা নিচে দেখে আসি।
আরও পড়ুন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
আপনি যদি ঘরে বসে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করার জন্য যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় আপনি যদি এর আগে কখনো স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে না থাকেন তাহলে প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রথমে আপনাকে services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে সকল সঠিক তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে এবং চাইলে আপনি এখান থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আপনি এখান থেকেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ঘরে বসে NID Card সংশোধন করার নিয়ম
এনআইডি কার্ড সংশোধন করা খুবই সহজ। আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে চাইলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা NID Card সংশোধন করে নিতে পারেন, তবে অবশ্যই আপনার বিকাশ, নগদ বা রকেটে ব্যালেন্স থাকতে হবে অথবা আপনি যেকোন দোকান থেকে পেমেন্ট করার জন্য অবশ্যই হাতে টাকা রেখে নিবেন।
চলুন আমরা এবার বাড়িতে বসে নিজে নিজে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের নিয়ম জেনে নিই।

ধাপ ১:
এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে প্রথমে আপনাকে http://services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করতে হবে। এবার আপনাকে হোম পেজ থেকে প্রোফাইল অপশন এ ক্লিক করতে হবে এবং প্রোফাইল অপশন এ ক্লিক করলেই আপনি ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, এবং ঠিকানা নামের তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। আপনি যেই তথ্য সংশোধন করতে চান সেই অপশনটি সিলেক্ট করুন। উপরের দিকে কর্নারে (এডিট) বলে একটি বাটন পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।

ধাপ ২:
এবার এডিট অপশনে ক্লিক করার পরে আপনি প্রতিটা জায়গায় একটি খালি বক্সের মতন দেখতে পাবেন আপনি যেই নামটি বা যেই লেখাটি পরিবর্তন করতে চান সেই লেখার বাম পাশে একটি ছোট ✅ (চেকবক্স) দেখতে পাবেন আপনি সেই বক্সে একটি টিক মার্ক করে দিবেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং যেই লেখাটি ভুল রয়েছে সেই লেখাটি সঠিকভাবে লিখে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৩:
এ পর্যায়ে আপনাকে বিকাশ, রকেট অথবা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে পেমেন্ট করার জন্য আপনার বিকাশ থেকে পেমেন্ট অপশন এ গিয়ে NID service অপশনটি সিলেক্ট করে এনআইডি নাম্বার দিয়ে আবেদনের ধরন সিলেক্ট করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান এবং পিন নাম্বার দিয়ে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন।
ধাপ ৪:
আপনার পেমেন্ট যদি সম্পূর্ণভাবে হয়ে যায় তাহলে এই আপনি আপনার আবেদনকৃত একটি রিসিট পাবেন সেটি আপনি যেখান থেকে আবেদন করেছিলেন সেখানে গেলেই ডাউনলোড করতে পারবেন যদি আপনি সম্পূর্ণভাবে আপনার পেমেন্ট করতে পারেন।
এবং পেমেন্ট সম্পন্ন করা হয়ে গেলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সমস্যাটি অনলাইন এর মাধ্যমেই সমাধান হয়ে যাবে। আর যদি অনলাইনের মাধ্যমে সমাধান না হয় তাহলে আপনার আবেদনকৃত ফরম এবং পেমেন্ট রিসিপ্ট নিয়ে আপনার নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে তাদের কাছে দিলে তারা আপনাকে তথ্য পরিবর্তনের জন্য সহযোগিতা করবে।
NID Card Correction এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নিচে NID Card Correction এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হলো-
নিজ পিতা/স্বামী/মাতার নাম সংশোধন করার জন্য কী কী কাগজপত্রের প্রয়োজন?
আবেদন পত্রের সাথে যেসব দলিলাদি (এক বা একাধিক) দাখিল করতে হবে।
✓ এস.এসসি/সমমান সনদ
✓ নাগরিকত্ব সনদ
✓ জন্ম সনদ
✓ চাকুরীর প্রমাণপত্র
✓ পাসপোর্ট
✓ নিকাহনামা
✓ পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত দলিলাদি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে।
সাধারণত প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে উল্লিখিত তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
নিজের নাম পরিবর্তনের জন্য কী কী কাগজপত্রের প্রয়োজন?
ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
✓ এস.এস.সি/সমমান সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
✓ বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
✓ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট
✓ জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের কপি।
পরবর্তীতে কাগজপত্রের মূলকপি সহ ব্যক্তিগত শুনানীর জন্য উপস্থিত হতে হবে।
বিবাহ/বিবাহবিচ্ছেদের কারণে সংশোধণ
- বিবাহের কারণে স্বামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে- কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।
- বিবাহ-বিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে- তালাকনামার সত্যায়িত কপি দাখিল করতে হবে।
সাধারণত প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লিখিত তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
পিতা/মাতার নাম পরিবর্তন
পিতা/মাতার নাম আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
- এসএসসি/এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার সনদপত্র/রেজিস্ট্রেশন কার্ড
- পিতা/মাতার পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
- পিতামাতা মৃত হলে অন্যান্য ভাইবোনের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
- অন্য কোন গ্রহণযোগ্য কাগজের সত্যায়িত কপি
প্রকল্প কাৰ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকর্তৃক সাক্ষাতকার গ্রহণ করা প্রয়োজন হতে পারে।
জন্মতারিখ সংশোধন
যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান
- তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
- অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শনকিংবা ব্যক্তিগত শুনানীতে অংশ নেয়া প্রয়োজন হতে পারে।
যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনূর্ধ এসএসসি/সমমান তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু তারিখের আগের তারিখের
- সার্ভিস বুক/এমপিও’র কপি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- জন্ম সনদ
- নিকাহনামা
- পাসপোর্টর কপি প্রভৃতি দাখিল করতে হবে
প্রকল্পকালিয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/প্রকল্প পরিচালক কর্তৃক সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়, প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।
বিবিধ সংশোধন
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোন নামের পূর্বে পদবী, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না।
- পিতা/স্বামী/মাতাকে “মৃত” উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে।
- জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে “মৃত” হিসেবে উল্লেখ করার কারণে।
- পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সংশোধন
রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
ঠিকানা সংশোধন
ঠিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে ফরম-১৩/ফরম-১৪ এ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
- প্রকল্প অফিসে ভোটার এলাকা পরবর্তন ছাড়া শুধু ঠিকানায় নম্বর বা বানান ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হয়।
- এজন্য পরিবারের কোন সদস্যের পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- গ্যাস/বিদ্যুৎ/টলিফোন বিলেরকপি, কর আদায়ের ফটোকপি।
- চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি দাখিল করতে হবে।
হালনাগাদ কর্মসূচীর সংশোধন/পুনঃ ইস্যু
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচীতে যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তৰ্ভূক্ত করা হয়েছে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র কোন ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে ডিসেম্বর, ২০১০ মাসের পর যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হল।
সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ
বিতরণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৭(সাত) দিনের মধ্যে কাউন্টার হতে সংশোধিত পরিচয়পত্র গ্রহণ করা না হলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
হারানো পরিচয়পত্রের ডুপ্লিকেট ইস্যু
- পরিচয়পত্র হারানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর/আইডি নম্বর উল্লেখ করে জিডি করে তার মূল কপিসহ সাদা কাগজ/সরবরাহকৃত ছকে আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র গ্রহণ করতে হবে।
- প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লিখিত ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়। নম্বর ভুল হলে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র ইস্যুকরণ সময় সাপেক্ষ।
- বিতরণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৭(সাত) দিনের মধ্যে কাউন্টার হতে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র গ্রহণ করা না হলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
Source: National Identity Registration Wing
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলে জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার আইডি কার্ড বা এন আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করবেন এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে হয়। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন নিয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন।
আমরা যথাসম্ভব আপনার সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব এবং আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত আরও কোনো বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে থাকি আর আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যাতে তারা এই বিষয়ে অবগত থাকতে পারে। এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন— আল্লাহ হাফেজ।
আমার বাবা মারা গিয়েছেন ২০১৬ সালে। তার এন আই ডি তে বয়স ভুল আছে কিন্তু জন্ম নিবন্ধন এ ঠিক আছে। এখন তার এন আই ডির বয়স কিভাবে ঠিক করতে পারি।
আমার বাবা-মা”’র দুইটি এনআইডি কার্ড সংশোধন করবো
বাবার নামঃ আইডি কার্ডে জাকির হোসেন সংশোধীত নাম হবেঃ মোঃ জাকির হোসেন
মায়ের নামঃ আইডি কার্ডে ফেরদুসী বেগম সংশোধীত নাম হবেঃ ফেরদৌসী বেগম
ডকুমেন্টস যা যা আছে সবগুলোতে সঠিক আছে শুধু তাদের এনআইডিতে ভুল,,,,,
জন্মনিবন্ধন আছে
ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক প্রত্যয়ন আছে
চারিত্রিক সনদ আছে
আমার আইডি কার্ড আছে
আমার সার্টিফিকেট আছে
আপুর আইডি কার্ড আছে
আপুর সার্টিফিকেট আছে
এখন আমার কথা হলো অনলাইনে আবেদন করলে কত দিনের মধ্যে সংশোধন হতে পারে,,,,আর সংশোধন আবেদন করলে কি সংশোধন হয় নাকি?
অনেকে দেখলাম আবেদন ৬/৭ মাস পেন্ডিং আছে সংশোধন হয় না
এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বোচ্চ সময় ৪৫ দিন লাগে। তবে সময় মূলত নির্ভর করে আবেদনের ধরণের উপর। অনলাইনে উপযুক্ত প্রমাণপত্র আপলোড করে সঠিকভাবে আবেদন করার পর ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়।
যাদের এই সময়ের মধ্যেও আমাদের গৃহীত হয় না তাদের অন্য কোথাও সমস্যা আছে।
আমার মা বাবার টা সংশোধন করতে কি হলফনামা লাগবে নাকি?
দুঃখিত, এব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন ফরমটি হারিয়ে ফেলেছি। সেটা কীভাবে পুনরায় পেতে পারি?
সংশোধনের জন্য নিজে অনলাইনে আবেদন করে থাকলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে লগইন করে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিন।