স্তন ক্যান্সারে বর্তমানে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তার মধ্যে নারীর সংখ্যা ৯৮% হলেও পুরুষদেরও কিছু অংশ স্তন ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সারে (Breast Cancer) আক্রান্ত। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি এর হিসাবে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজারের বেশি মানুষ এই ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। মারাও যায় অনেকে, তবে যারা বেঁচে থাকে তাদের হারাতে হয় দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। স্তন ক্যান্সার এতটাই ভয়াবহ যে এটার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আলাদা করে দিবস নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ই অক্টোবর স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর সমীক্ষা অনুসারে, ২০১৭-১৮তে পৃথিবীতে প্রায় ১৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ। (তথ্যসূত্র: যুগান্তর)
স্তন ক্যান্সার আসলেই খুবই আতঙ্কের বিষয়—বিশেষ করে নারীদের জন্য। যদিও কিছু সংখ্যক পুরুষও এই রোগে আক্রান্ত হয়। তাই চেষ্টা করতে হবে এই রোগ থেকে বেঁচে থাকতে। এক হিসাবে এসেছে নারীদের ক্ষেত্রে প্রতি আট জনের মধ্যে একজন ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে এর প্রভাব বেশি পাওয়া যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা যায়।
যাহোক, এ পর্যায়ে আমরা স্তন ক্যান্সার কী, এর লক্ষণ, প্রতিরোধ যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার (Breast Cancer) বা স্তন ক্যান্সার কী?
ব্রেস্ট ক্যান্সার কী তা জানার আগে জানতে হবে আসলে ক্যান্সার কী। আমাদের দেহ অনেকগুলো কোষের সমন্বয়ে গঠিত যা দেহে স্বাভাবিক অনুপাতে বিদ্যমান। এই কোষগুলো যখন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকবে তখন তাকে ক্যান্সার বলে। ঠিক স্তন ক্যান্সারের বিষয়টাও একই। যখন স্তনে একটি কোষ স্বাভাবিক অবস্থা থেকে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি ঘটাতে থাকে আর সেখান থেকে একটি টিউমার বা পিন্ড সৃষ্টি হয়। তারপর রক্তের লসিকার বা অন্যান্য মাধ্যমে দেহে ছড়িয়ে পড়ে। একেই ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সার বলা হয়।
ক্যান্সার সাধারণত প্রথম অবস্থায় প্রকাশ পায় না তাই সেটা নিরাময় করাও সহজে সম্ভব হয় না। তবে যদি প্রাথমিক অবস্থাতেই এর প্রভাব শনাক্ত করা যায় তাহলে এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: কীভাবে আজীবন সুস্থ থাকা যায়?
স্তন ক্যান্সারের কারণ
স্তন ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি তবে কিছু সাধারণ কারণ আছে এর। তার মধ্যে কিছু কারণ আছে যা আমাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। তবে আমরা চাইলেই পরিবর্তনশীল কারণগুলো পরিবর্তন করে এই রোগ থেকে বাঁচতে পারি। তার মধ্যে অপরিবর্তনশীল কারণগুলো হলো জেনেটিক, বংশ বা হরমোনের কারণে। যেগুলো আমাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
স্তন ক্যান্সারের আরো কিছু কারণ আছে যা আমরা চাইলেই পরিবর্তন করতে পারি না তবে সাবধান থাকতে পারি। যেমন বংশের মা, খালা, ফুফু বা এমন আত্মীয়ের যদি স্তন ক্যান্সার থাকে তাহলে এটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে অধিক লক্ষণীয়। অ্যাস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাছাড়া একটি বিষয় আগেই বলা হয়েছে যে ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি।
তাছাড়া যে সাধারণ কারণগুলো ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে এ পর্যায়ে।
- চর্বিযুক্ত খাবার স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী হতে পারে। যারা শাকসবজি খুব কম খায় বা একদমই খায় না শুধু চর্বিযুক্ত খাবার খায় তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ‘আমেরিকান সোসাইটি ফর নিউট্রিশন’য়ের গবেষকরা বলেন, ‘চর্বিযুক্ত খাবার স্তন ক্যান্সারের অন্যতম একটি কারণ।’
- সবসময় ব্রা বা বেসিয়ার পড়া। অথবা সঠিক মাপ ছাড়া ব্রা বা বেসিয়ার পড়া। কারণ এতে সারাদিনের ঘাম, শুষ্ক অবস্থা জমাট থাকে। তাছাড়া সঠিক মাপ ছাড়া ব্রা পড়লে ব্রেস্টের কোষগুলোর সঠিক ক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
- অনেক দেরিতে বিয়ে করা এবং দেরিতে বাচ্চা নেওয়া। মহিলারা ৩০ বছরের বেশি বয়সে বাচ্চা নিলে তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
- অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাছাড়া আজকাল মহিলারাও ধুমপান বা মধ্যপানে আসক্ত। এগুলো ক্যান্সারের কারণ। এ থেকে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার হতে পারে।
- বাচ্চাদের দুধ না খাওয়ানোও স্তনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কিছু নারীরা আছে যারা স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাচ্চাকে বুকের দুধ দেয় না। এতে স্তনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- মেয়াদোত্তীর্ণ ডিওডেনাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। তাছাড়া ডিওডেনাম কিনার সময় তার উপাদানগুলোও দেখে নেওয়া উচিত, কেননা এতে এমন কিছু উপাদান থাকতে পারে যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য দায়ী। অ্যালুমিনিয়াম বেইজড উপাদান থাকলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে শারীরিক যেসব ক্ষতি হয় তার মধ্যে অন্যতম হতে পারে স্তন ক্যান্সার। তাই স্তন ক্যান্সার এড়াতে শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
- ক্ষতিকর বিভিন্ন কীটনাশক, ক্ষতিকর কসমেটিকস, রাসায়নিক দ্রব্য অথবা বিভিন্ন ক্ষতিকর খাবার গ্রহণের ফলে হতে পারে স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সার।
আরও পড়ুন: ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় জানুন
স্তন ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
স্তন ক্যান্সারের প্রতিরোধ করার আগে জানা প্রয়োজন স্তন ক্যান্সারের কারণ। তবে আগেই বলেছি ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখনো ঠিক করে বলা যায় না, তবে কিছু সাধারণ কারণ আছে যা ধারণা করা যায়। এসবের উপর ভিত্তি করেই পূর্বের স্টেপটা সাজানো হয়েছে। আর সেখানে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। তাই স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে যেহেতু এর কারণগুলো এড়িয়ে চলতে হবে, তাই উপরে উল্লেখিত কারণ গুলো থেকে বিরত থাকলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। তার মধ্যে উপরের কারণগুলো থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি প্রয়োজন একটু নিয়ম করে চলা। যেমন- খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস
খাবার আমাদের শক্তি যোগায়। এই খাবারের উপরেই নির্ভর করে আমাদের সুস্থ থাকা। খাবার সবসময় যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে এমনও না। কিছু কিছু খাবার দেহের ক্ষতিসাধনও করে থাকে। তাই এই খাবার নির্বাচনে আমাদের একটু সতর্ক থাকা উচিত। যেমন আমি আগেই উল্লেখ করেছি চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর করার সাথে সাথে এটা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। তাই চর্বিযুক্ত ফাস্ট ফুড ত্যাগ করা উচিত।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর জন্য অনেক শাকসবজি খাওয়া উচিত। ফাইবারযুক্ত খাবারো খুব উপকারী ক্যান্সার প্রতিরোধে। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ফলমূল। তবে খেয়াল রাখা জরুরি যে ফল আপনি গ্রহণ করছেন তা যেন ফরমালিন যুক্ত না হয়। কারণ ফরমালিনও দেহের বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় মৌসুমি ফল খাওয়া বা নিজেদের বাগানের ফল খাওয়া। ডালিমে আছে এলাইডিক অ্যাসিড, যা উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। তাছাড়া সবুজ হলুদ বিভিন্ন ফল খেতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। মাশরুমে থাকা ছত্রাক স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে অধিক কার্যকরী। এক গবেষণায় এসেছে চীনের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলারা মাশরুম সেবনে এর প্রবণতা অনেকাংশই কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে তবে তা প্রাথমিক অবস্থাতেই সম্ভব।
এড়িয়ে চলা খাবারের তালিকায় আছে চিনি, ফাস্ট ফুড, কাঁচা লবণ, কৃত্রিম রং মেশানো খাবার ইত্যাদি।
স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ: যেভাবে বুঝবেন আপনার স্তন ক্যান্সার হয়েছে
উপরের সব আলোচনায় আপনার একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে যে আমি ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে তেমন কোনো জোড়ালো কথা বলিনি। আসলে ব্যাপারটা এরকমই। ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার হওয়ার কোনো স্পষ্ট কারণ এখনো পাওয়া যায়নি শুধু সাধারণ কিছু কারণ নির্ধারণ করা যায়। তবে এসব নিয়ম মানার পরও হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সার! তবে সেটা প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা পড়লে এটা নিরাময় করা সম্ভব। তাই আগে বুঝতে হবে আসলে স্তন ক্যান্সারের উপসর্গ গুলো কী কী এবং কীভাবে বুঝবেন স্তন ক্যান্সার হয়েছে কি না।
স্তন ক্যান্সার হলে প্রথমদিকে তেমন কোনো উপসর্গ বুঝতে পারা যায় না। স্তনে কোনো ব্যাথাও তেমন প্রথমদিকে অনুভব হয় না। তাই স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করার এক মাত্র উপায় হলো টিউমার বা পিন্ডটাকে সনাক্ত করা। তার জন্য গোসল করার সময় স্তনে হাত ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে দেখা উচিত কোনো পিন্ড বা টিউমার সৃষ্টি হয়েছে কি না। এটা মাসিকের সাতদিন আগে বা সাত দিন পরে করলে বেশি ভালো হয়। যদি টিউমার বা পিন্ড অনুভব হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে এটা স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ।
তাছাড়া আরো কিছু লক্ষণ আছে যা পরবর্তীতে প্রকাশ পায়। যেমন:
- স্তন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া
- স্তনের রং পরিবর্তন হওয়া
- স্তনের কিছু অংশ বা পুরোটাই ফুলে উঠা
- স্তন থেকে স্রাব বের হওয়া
- স্তন বৃন্তে চুলকানি বা স্তনে ব্যথা অনুভব হওয়া
- স্তন বৃন্ত কুচকে যাওয়া বা ভেতরে ঢুকে যাওয়া।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা
স্তন ক্যান্সারের উপসর্গ দেখার সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসাগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নেওয়া সম্ভব না।
স্তন ক্যান্সার যখন একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় থাকে তখন কিছু বিশেষ থেরাপির মাধ্যমে এর নির্গমন করা সম্ভব হয়। যেমন- রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি। এইগুলো স্তন ক্যান্সারের কোষকে ধ্বংস করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া এই স্তন ক্যান্সার যদি মাত্রাতিরিক্ত পর্যায় ধরা পড়ে তাহলে আক্রান্ত স্তন অপসারণ করে ফেলতে হতে পারে। এসব বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে করা উচিত।
স্তন ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ
ক্যান্সার শব্দটি যেহেতু আতঙ্কের, এর চিকিৎসার খরচও নিশ্চয়ই একটু বেশিই হবে! আসলেই তাই। স্তন ক্যান্সারে অনেক মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই এই মরণব্যাধী রোগ থেকে বাঁচার খরচও বেশি।
স্তন ক্যান্সারের জন্য বাংলাদেশে তার চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও সবচেয়ে ভালো চিকিৎসার জন্য বেশির ভাগ মানুষেই ভারতে যায়। সব মিলিয়ে ৫০ হাজার থেকে ১৫ লাখের মতো খরচ হতে পারে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভাল হয়?
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে যে, “স্তন ক্যান্সারের রোগী আসলেই কি বাঁচে?”
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগকেও হার মানানো সম্ভব। তবে ডাক্তারের সঠিক দিকনির্দেশনা ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
শেষ কথা
ক্যান্সার একটা মরণব্যাধি রোগ হওয়া সত্ত্বেও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিকার সম্ভব। ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসাও এখন অনেক সহজলভ্য। তবে অনেকে আছি যারা এটাকে প্রথম দিকে গুরুত্ব দেই না। এটা একদম ভুল কাজ। স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা মাত্র এর চিকিৎসা করানো উচিত। আর বেশি আতঙ্কিত হওয়া যাবে না।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ুন। স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে আপনার কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট সেকশনে লিখুন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।